কলকাতায় কোলবেড মিথেন গ্যাস সরবরাহ এবং তার দাম নির্ধারণ নিয়ে সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে এই বৈঠকে হাজির থাকতে হবে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে। এক মাসের মধ্যে বৈঠক করে সব পক্ষকে আলাদা আলাদা ভাবে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে।
কলকাতার বায়ুদূষণ রুখতে পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক গ্যাস চালু করার আর্জি জানিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি জানান, ১৯৯৫ সালে দিল্লিতে সিএনজি চালু হয়েছিল। কিন্তু কলকাতায় তা এখনও এল না। দুর্গাপুর-আসানসোলে কোলবেড মিথেনের উৎস থাকলেও তা মহানগরে পৌঁছয় না। বস্তুত, দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল থেকে কোলবেড মিথেন মহানগরে আনা নিয়ে একাধিক বার কথা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ওই শিল্পাঞ্চলে মিথেনের ব্যবসাকারী দু’টি সংস্থা সরবরাহের কথা বললেও পরে পিছিয়ে গিয়েছিল।
এ দিন অবশ্য ওই দু’টি বেসরকারি সংস্থা জানায়, তারা ট্যাঙ্কারে করে কলকাতায় গ্যাস সরবরাহ করতে প্রস্তুত। কিন্তু গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া জানায়, ওই সংস্থা যা দাম বলছে তাতে বিষয়টি অর্থকরী হবে না। ফলে মানুষ এটি কিনতে উৎসাহিত হবেন না। তখনই পুরো বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দেয় আদালত।
এ দিন আদালতে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের যুগ্মসচিব আশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে সিএনজি আনার জন্য পাইপলাইন পাতা হচ্ছে। এ জন্য কেন্দ্র ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই কাজের জন্য গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া এবং গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন একটি যৌথ সংস্থা গ়ড়েছে। কিন্তু কিছু নথিপত্র না জমা দেওয়ায় পেট্রোলিয়াম ও ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ড কাজ শুরুর অনুমোদন দেয়নি। এই নথি দ্রুত জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।