জি ডি বিড়লা স্কুল।—ফাইল চিত্র
বছর খানেকের লড়াই করার পরে অবশেষে মান্যতা পেল জি ডি বিড়লা স্কুলের অভিভাবকদের নিয়ে তৈরি ‘ঘনশ্যাম দাস বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন পেরেন্টস ফোরাম।’ রবিবার অভিভাবকদের সেই ফোরামের প্রথম বৈঠকও হয়েছে।
ফোরামের সদস্যেরা জানিয়েছেন, মাস খানেক আগেই তাঁরা রেজিস্ট্রেশন পেয়েছেন। এর পরে তাঁরা স্কুলের প্রিন্সিপাল, রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ফোরাম গঠনের কথা লিখিত ভাবে জানান। স্কুলের ট্রাস্টের তরফ থেকে এই ফোরামকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন অভিভাবকেরা।
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর যাদবপুর থানার অন্তর্গত জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনের নার্সারি বিভাগের পড়ুয়া বছর চারেকের শিশুকে চকোলেট দেওয়ার নাম করে শৌচাগারে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে শারীরশিক্ষার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনেন ওই শিশুর পরিবার। তাদের অভিযোগ, শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে ওই দুই শিক্ষক মিলে শিশুটির উপরে যৌন নির্যাতন চালায়। স্কুলকে সে কথা বললেও তারা দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে রাজি হয়নি বলে ওই দিন অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখে পড়ে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তার পরেও স্কুলের ভিতরে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার উপরে অভিভাবকেরা জোর দেওয়ার দাবি তুলতে থাকেন। পড়ুয়া বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে খারাপ স্পর্শ এবং ভাল স্পর্শ—এ সব বিষয়গুলি কী করে বোঝানো যায়, তার সচেতনতায় শিবির করার কথাও বলেন তাঁরা। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই ওই স্কুলের অভিভাবকেরা ফোরাম তৈরির ভাবনাচিন্তা করেন।