Death

বধূর মৃত্যুতে অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ি

বুধবার বিকেলে, আনন্দপুর থানা এলাকার বানতলার একটি বাড়ি থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পিঙ্কি বৈদ্য (২৬)। মৃতার পরিবারের তরফে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি

ঘর থেকে উদ্ধার হল এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। বুধবার বিকেলে, আনন্দপুর থানা এলাকার বানতলার একটি বাড়ি থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পিঙ্কি বৈদ্য (২৬)। মৃতার পরিবারের তরফে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বানতলার বাসিন্দা সমীর বৈদ্যের সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয় পিঙ্কির। তাঁদের সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এ দিন তাঁর স্বামী সমীর ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখেন বলে পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ যখন পৌঁছয় তত ক্ষণে পিঙ্কির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মেঝেয় নামিয়ে আনেন। পুলিশ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বধূকে পাঠালে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, মেয়ে হওয়ার পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিঙ্কিকে নানা কথা শোনাতেন বলে অভিযোগ। মৃতার বোন স্বাতী প্রামাণিকের অভিযোগ, ‘‘মেয়ের জন্ম দেওয়ার সাত দিন পরে পিঙ্কি ও তার সদ্যোজাত বাচ্চাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ঘর থেকে বার করে দেয়। তার পর থেকে দু’বছর বাপের বাড়িতে ছিল পিঙ্কি। পরে শ্বশুরবাড়ি ফিরলেও পিঙ্কির উপরে অত্যাচার থামেনি।’’ তিনি বলেন, ‘‘দিনের পর দিন শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পিঙ্কি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক, এটাই চাই।’’ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পারিবারিক ঝামেলায় দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পিঙ্কি। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন