সরে যেতে উদ্যোগী হলেন না দোকানিরা

কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল শনিবার থেকেই অস্থায়ী জায়গায় সরে যেতে হবে দোকানদারদের। বাস্তব চিত্র হল, এ দিনও দক্ষিণেশ্বর রানি রাসমণি রোডের দু’ধারের কোনও দোকানের মালপত্রই সরানো হল না। উল্টে দোকানদারদের দাবি, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার কথা ভাবছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:০০
Share:

তৈরি হওয়া অস্থায়ী দোকান। শনিবার। — নিজস্ব চিত্র

কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল শনিবার থেকেই অস্থায়ী জায়গায় সরে যেতে হবে দোকানদারদের। বাস্তব চিত্র হল, এ দিনও দক্ষিণেশ্বর রানি রাসমণি রোডের দু’ধারের কোনও দোকানের মালপত্রই সরানো হল না। উল্টে দোকানদারদের দাবি, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার কথা ভাবছেন তাঁরা।

Advertisement

কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের গোপাল সাহা বলেন, ‘‘মামলা করার অধিকার সবার রয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশ সকলের মানা উচিত। দোকানদারেরা তা না করলে ২১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ফের যা নির্দেশ দেবে আমরাও তাই করব।’’ ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে অস্থায়ী জায়গায় সরে যেতে হবে দোকানদারদের। সেই নির্দেশ পালন হয়েছে কি না, ২১ ডিসেম্বর তা রিপোর্ট আকারে পেশের কথাও বলেন বিচারপতি।

শনিবার দেখা যায়, রানি রাসমণি রোডের দু’ধারে সমস্ত দোকান খোলা। অন্য দিকে, পুলিশি পাহারায় মন্দিরের পিছনে মা জননী সারদা রোডে চলছে অস্থায়ী দোকান তৈরির কাজ। পুরসভা সূত্রে খবর, টিনের দেওয়াল ও ছাউনি দেওয়া ১৩৭টি দোকান তৈরি। শুধু তালা লাগানোর জায়গা ও বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ বাকি ছিল। তা এক দিনেই শেষ হয়ে যাবে। দোকান তৈরির কাজ দেখাশোনা করেন, এমন এক কর্মীর কথায়, ‘‘সোমবার থেকেই দোকানদারেরা পুরসভা থেকে চাবি নিতে পারবেন।’’

Advertisement

কিন্তু ওই জায়গায় পুনর্বাসন নিতে নারাজ দোকানদারেরা। এক দোকানি শুক্লা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যেখানে অস্থায়ী দোকান হয়েছে, দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়লে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে। তাই যেতে রাজি হইনি।’’ দোকানদার সমিতির সম্পাদক অজিত সিংহ জানান, অস্থায়ী দোকানগুলির বাস্তব পরিস্থিতি দেখে পুলিশ রিপোর্ট দিলে আদালত রায় জানাবে। তাই তাঁরা মালপত্র সরাননি, অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘‘উন্নয়নে আপত্তি নেই। তবে অস্থায়ী দোকানের সংকীর্ণ রাস্তায় অঘটন ঘটলে দায় বর্তাবে দোকানদারের উপরেই। তাই মন্দির চত্বরে প্রথম পার্কিং লটে আপাতত জায়গা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু কুশল চৌধুরী তা মানছেন না।’’ অজিতবাবুর দাবি, প্রস্তাব মানা না হলে জনস্বার্থ মামলা ও বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন তাঁরা।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের তরফে কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘সরকার আমাকে প্রকল্পের সদস্য করলেও সব সিদ্ধান্ত আমার নয়। অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে। তবে দর্শনার্থীদের কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা প্রশাসন বুঝবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন