অন্দরের ‘রেফার’ রোগ ঠেকাতে বৈঠক

বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিংহ, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য-সহ স্বাস্থ্য ভবনের ১১ জন আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৩
Share:

এসএসকেএম হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র।

এসএসকেএমের অন্দরে ‘রেফার’ রোগ বন্ধে সচেষ্ট হল স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালগুলির সমস্যা সরেজমিন পরিদর্শনের ভিত্তিতে মিটিয়ে ফেলতে গত বছর থেকে ‘এক্সচেঞ্জ’ নামে একটি কর্মসূচি শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই কর্মসূচির হাত ধরে এই ভাবনা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিংহ, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য-সহ স্বাস্থ্য ভবনের ১১ জন আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, সুপার স্পেশ্যালিটি বিভাগে রেফার করার প্রয়োজন না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা হচ্ছে। এক কর্তার ব্যাখ্যা, হয়তো মেডিসিন বিভাগেই চিকিৎসা সম্ভব। তা সত্ত্বেও রোগীকে নেফ্রোলজি, নিউরোলজি, কার্ডিওথোরাসিকের মতো বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। এমনিতেই রোগীর চাপে থাকেন চিকিৎসকেরা, তার মধ্যে এ ধরনের রোগীকে সময় দিতে তাঁদের আরও সমস্যা হচ্ছে।

বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘বেশি সময় নিয়ে রোগীকে দেখলে সমস্যার গোড়ায় পৌঁছনো যায়। কিন্তু সেই সময় কোথায়? মুর্শিদাবাদ থেকে এসে তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানো রোগী যখন ডাক্তারবাবুর কাছে পৌঁছলেন, তাঁর বরাদ্দ দু’মিনিট! আমরাই বা কী করব?’’

Advertisement

সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সন্দিহান এসএসকেএমের বিভাগীয় প্রধানদের একাংশ। এক প্রধানের কথায়, ‘‘রেফারের ক্ষেত্রে বাছাই কী ভাবে সম্ভব! চাপ সব বিভাগেই রয়েছে।’’ স্বাস্থ্য ভবনের ওই কর্তা জানান, অন্দরের এই ‘রেফার’ রোগ কী ভাবে সারানো যায়, তা ভাবা হচ্ছে। জেনারেল মেডিসিন বিভাগের কাউন্টার বাড়িয়ে, না কি অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ করে, কোন পথে রোগ নিরাময় সম্ভব তা-ও দেখা হচ্ছে। এসএসকেএমে রোগীর হয়রানি কমাতে নতুন একটি কমিটি গড়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাস ছয়েক আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কমিটি গড়ে সুফল মিলেছে। এসএসকেএমের নিওনেটাল বিভাগে সংক্রমণের মাত্রা ১০ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশ হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement