চিকিৎসকদের পাঠ্যক্রমে বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তুতি এবং কথা চলছিল অনেক দিন ধরেই। গত বছর থেকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ নিজেদের উদ্যোগে চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের জন্য মার্শাল আর্ট তাইকোন্ডোর প্রশিক্ষণও শুরু করেছিল। অবশেষে একে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে অনেকটা এগলো স্বাস্থ্য দফতর।
৩০ জানুয়ারি রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। তাতে জানানো হয়েছে, ‘মোটিভেশন অ্যান্ড স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট থ্রু তাইকোন্ডো’—এই বিষয়টিকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর নোডাল অফিসার হয়েছেন এনআরএস-এর ডেপুটি সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাস, যিনি নিজেও তাইকোন্ডোতে ব্ল্যাক বেল্ট। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজকে এ ব্যাপারে তাদের প্রস্তাব দ্বৈপায়নবাবুর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তাইকোন্ডো নিয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েক বার কর্মশালাও হয়েছিল।
চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, তাইকোন্ডো মার্শাল আর্ট শরীরের সঙ্গে মনকেও প্রভাবিত করে। এটি জানলে চিকিৎসকেরা মানসিক দিক দিয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হবেন। কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য বজায় রেখেও রোগীর পরিজনেদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন তাঁরা।