হাওড়ার আমতায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করে গত বছর খুনের মামলা দায়ের করেন তাঁর বাবা। অভিযোগ, ঘটনার পরে আট মাস কেটে গেলেও পুলিশ তদন্ত শুরু করেনি। সেই কারণে আমতা থানার পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ওই যুবকের বাবা। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল। হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বাবার অভিযোগ শুনে এ দিন আমতা থানার ওসি-কে নির্দেশ দিয়েছেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর কী তদন্ত হয়েছে, তার রিপোর্ট আগামী ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।
পুলিশ জানায়, উদয়নারায়ণপুরের শিবানীপুরের বাসিন্দা সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় (২৫) গত বছর ৩ অক্টোবর রাতে (দুর্গাপুজোর নবমী) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সৈকত রাত সওয়া ১১টা পর্যন্ত পাড়ার পুজোমণ্ডপে ছিলেন। তার পরে গৌরব চট্টোপাধ্যায় নামে এক বন্ধুকে নিজের মোটরসাইকেলে চাপিয়ে বাগনানের দিকে রওনা হন। গৌরব পরের দিন সকালে আমতা থানায় গিয়ে জানান, বাগনান-আমতা রোড ধরে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন সৈকতই। রাত পৌনে ৩টে নাগাদ বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান ও একটি গাছে ধাক্কা মারেন। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে আমতা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সৈকতের বাবা কার্তিকবাবুর কৌঁসুলি নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য এ দিন আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল মনে করেন এটি দুর্ঘটনা নয়, খুন। কারণ, দুর্ঘটনা ঘটল, অথচ তাঁর ছেলের পেটে একটি ফুটো ছাড়া দেহের আর কোথাও আঘাত চিহ্ন নেই। গৌরবের শরীরে আঁচড় পর্যন্ত লাগেনি। পুলিশ গৌরবকে জিজ্ঞাসাবাদ অবধি করেনি। তা ছাড়া, যে সময় দুর্ঘটনা ঘটে, দেখা যাচ্ছে, তার পরেও সৈকতের মোবাইল থেকে অন্য দু’টি নম্বরে ফোন করা হয়েছে। কে ওই দু’টি ফোন করল, তা-ও খতিয়ে দেখেনি পুলিশ।