বাবা-মাকে বাঁচতে দিন: ছেলেকে কোর্ট

ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বয়স্ক দম্পতি। বুধবার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য করলেন, বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখভাল করতে না পারলেও তাঁদের অন্তত খুশি মতো বাঁচতে দিক ছেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৫
Share:

ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বয়স্ক দম্পতি। বুধবার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য করলেন, বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখভাল করতে না পারলেও তাঁদের অন্তত খুশি মতো বাঁচতে দিক ছেলে। ছেলের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘তা না হলে ছেলেকে জেলে ভরেই দেখভাল করবে রাজ্য।’’

Advertisement

পুলিশ জানায়, সরশুনার বাসিন্দা দিলীপকুমার বসু ও তাঁর স্ত্রী মাধুরীদেবী অভিযোগ করেন, ছেলে সুদীপ্ত ও পুত্রবধূ সুমনা তাঁদের উপরে মানসিক অত্যাচার করছে। দিলীপবাবু রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। সরশুনার বাড়িটি মাধুরীদেবীর নামে। সুদীপ একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করেন। বছরখানেক আগে বাড়ির দলিল বন্ধক রেখে ঋণ নিয়ে দোতলায় ঘর করেন তিনি। মাধুরীদেবীর অভিযোগ, তার পর থেকেই সুদীপ চাইছেন বাড়িটি তাঁর নামে লিখে দেওয়া হোক।

শুনানিতে সরকারি আইনজীবী শুভব্রত দত্ত জানান, সুদীপ ও সুমনাকে কাউন্সেলিং করিয়েছিল পুলিশ। কাজ না হওয়ায় আইনমাফিক শান্তি
বজায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মাধুরীদেবী ও দিলীপবাবুর আইনজীবী অর্জুন রায় মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁর মক্কেল যাতে শান্তিতে নিজের বাড়িতে থাকতে পারেন আদালত সেই ব্যবস্থা করুক। সুদীপের আইনজীবী অভিষেক শিকদার দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ ঠিক নয়। তিনি বাবা-মায়ের দেখভাল করেন।

Advertisement

এর পরেই বিচারপতি বাগচী পুলিশকে নির্দেশ দেন আইনমাফিক শান্তি বজায়ের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে। তাতে কাজ না হলে ওই দম্পতি প্রবীণ নাগরিকদের সুরক্ষা আইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পুলিশ তার ভিত্তিতে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন