প্রোমোটিং-কাণ্ডে পাল্টা অভিযোগ

পুলিশ জানিয়েছে, ১২২ এ এবং ১২২এফ কেদারনাথ দাস লেনের ঠিকানার বাড়িটিতে দশ জন শরিক রয়েছেন। সম্প্রতি অরুণ ঘোষ নামে এক প্রোমোটারকে দিয়ে বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:১০
Share:

দক্ষিণ সিঁথি এলাকায় প্রোমোটিং-কাণ্ডে পাল্টা অভিযোগ দায়ের হল।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ১২২ এ এবং ১২২এফ কেদারনাথ দাস লেনের ঠিকানার বাড়িটিতে দশ জন শরিক রয়েছেন। সম্প্রতি অরুণ ঘোষ নামে এক প্রোমোটারকে দিয়ে বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। এক শরিক দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রূপালি ঘোষের অভিযোগ, ‘‘২২ ফেব্রুয়ারি রাতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইমন বসু ও তাঁর স্ত্রী নেহা এসে অঞ্জনা বিশ্বাস নামে এক মহিলাকে জোর করে ভাড়াটে হিসাবে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেন। অবৈধ ভাবে কেন প্রবেশ করেছেন তিনি সে বিষয়ে ৮ মার্চ অঞ্জনাকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ইমন ও নেহা হাজির হয়ে মারধর করেন।’’ ৮ মার্চ ইমন ও নেহার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন রূপালিদেবী।

শুক্রবার রাতে অঞ্জনাদেবী বাড়ির মালিক, প্রোমোটার-সহ চার জনের বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ঘটনায় রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রূপালিদেবীদের বাড়ি প্রোমোটিংয়ের জন্য এক সময় ইমনের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হয়েছিল। তা পরে বাতিল হয়ে যায়। বাড়িরই এক শরিক জয়দীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘প্রোমোটিং করতে না পেরে জোর করে বাড়িতে অঞ্জনাকে ঢুকিয়ে দেন ইমন। এ দিন ওই মহিলাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতেও ইমনই ইন্ধন জোগান।’’ শনিবার ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, বাড়িটির বেশির ভাগ অংশ ভাঙার কাজ শেষ হয়েছে। একটি ভা়ঙা ঘরের মধ্যে বৃদ্ধা মা ও ছেলেকে নিয়ে রয়েছেন অঞ্জনা বিশ্বাস। অঞ্জনাদেবীর অভিযোগ, ‘‘দু’বছর ধরে এই বাড়িতে ভাড়া আছি। বাড়ি থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই বাড়ির মালিক চাপ দিচ্ছেন। শুক্রবার রাতে বাড়ির মালিক দিলীপ ঘোষ, প্রোমোটার অরুণকুমার ঘোষ-সহ চার জন মিলে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন।’’ শুক্রবার রাতে দিলীপ ঘোষ, অরুণকুমার ঘোষ-সহ চার জনের বিরুদ্ধে সিঁথি থানায় মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন অঞ্জনা।

যদিও রূপালি ঘোষ বলেন, ‘‘আমার স্বামী দু’দিন ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী। উনি কী ভাবে মারধর করবেন। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।’’

লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ইমন বসুর খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি শুক্রবার যে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ স্থানীয় বিধায়ক মালা সাহা সাফ বলেন, ‘‘ইমনই কেদারনাথ দাস লেনের বাড়িটিতে ওই মহিলাকে জোর করে এনে বসিয়েছে। পুলিশকে বলেছি, শীঘ্রই ইমনকে গ্রেফতার করতে। দল এরকম কাজ বরদাস্ত করে না। ওই মহিলাকে যাতে অবিলম্বে উচ্ছেদ করা যায় সে বিষয়ে পুলিশও যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন