ইস্টার মরসুমে উৎসবের সাজ

জেরুসালেমের গলগাথার রাস্তায় যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল যে দিন, তাকেই ‘গুড ফ্রাইডে’ বলে থাকেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট অনুযায়ী, এর তিন দিন পরে, রবিবার ফের বেঁচে ওঠেন তিনি।

Advertisement

স্বাতী মল্লিক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
Share:

উদ্‌যাপন: শহরের এক বেকারিতে ইস্টারের সম্ভার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

মধ্যরাতে গির্জায় গিয়ে ‘ইস্টার মাস’-এ অংশগ্রহণ। এর পরে পা মেলানো ইস্টারের র‌্যালিতে। দিনভর খাওয়াদাওয়া, পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠা— এ ভাবেই ‘ইস্টার সানডে’ উদ্‌যাপন করেন এ শহরের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। ভোটের এই মরসুমেও ইস্টার পালনে খামতি রাখছেন না তাঁরা। ইস্টার এগ থেকে শুরু করে ইস্টার র‌্যালি, আগামী রবিবারের উৎসবের জন্য রয়েছে সব কিছুরই আয়োজন।

Advertisement

জেরুসালেমের গলগাথার রাস্তায় যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল যে দিন, তাকেই ‘গুড ফ্রাইডে’ বলে থাকেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট অনুযায়ী, এর তিন দিন পরে, রবিবার ফের বেঁচে ওঠেন তিনি। মৃত্যুকে হারিয়ে যিশুর এই পুনরুত্থানকেই ‘ইস্টার সানডে’ হিসেবে পালন করেন তাঁরা। জোকার বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী ববি বিশ্বাস জানাচ্ছেন, ৪১ দিনের উপোস শেষে শনিবার রাত থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যায় এ শহরে। ববি বলছেন, ‘‘অনেকেই কবরখানায় গিয়ে প্রিয়জনেদের উদ্দেশে প্রার্থনা করেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় র‌্যালি বেরোয়। সকলকে ইস্টারের আনন্দে সামিল করাটাই এই র‌্যালির লক্ষ্য। শখেরবাজার থেকে ঠাকুরপুকুর পর্যন্ত র‌্যালিতে থাকব এ বার। তার পরে খাওয়াদাওয়া, পারিবারিক আড্ডা— এ সব তো থাকেই।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

আনন্দের ইস্টার উপলক্ষে ইতিমধ্যেই রংবেরঙের ইস্টার এগ এবং খাবারে সেজে উঠেছে নিউ মার্কেটের শতাব্দীপ্রাচীন বেকারি। চকলেট ইস্টার এগ, বাদামের পেস্ট দিয়ে তৈরি মারজিপান ইস্টার এগ, সুইস টফি, ডিম্বাকৃতি চকলেট, এগ বাস্কেট— ইস্টারে এদের আবেদন চিরকালীন। গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে হট ক্রস বানের (এক প্রকার পাউরুটি) জন্য ইতিমধ্যেই ওই বেকারিতে ঢুঁ মারছেন ক্রেতারা। পার্ক স্ট্রিটের নামী বেকারিতে অবশ্য এই পাউরুটি তৈরি হবে ‘গুড ফ্রাইডে’র সকালে। ওই বেকারির তরফে শেফ বিকাশ কুমার জানাচ্ছেন, চিরকালীন খাবারের সম্ভারের পাশাপাশি এ বার সেখানে নতুন কিছুর আয়োজনও করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘ছোটদের জন্য এ বার ইস্টার এগ হান্ট এবং এগ পেন্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়া রবিবার থাকছে ইস্টার ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাও।’’

ইস্টার উপলক্ষে প্রস্তুত বো ব্যারাকও। বড়দিনের আগে সেখানে বাড়িতে বাড়িতে কেক-পেস্ট্রি-জিঞ্জার ওয়াইন তৈরির রেওয়াজ থাকলেও ইস্টারে অবশ্য সে পথে হাঁটছেন না তাঁদের একাংশ। বো ব্যারাকের বাসিন্দা ডিয়ন অ্যালেক্সাডার বলছেন, ‘‘আমার বাচ্চারা সকলে বড় হয়ে গিয়েছে। তাই সে ভাবে কিছু রান্না করব না। এত গরম পড়েছে যে, এ বার বাড়িতেই সকলে মিলে ইস্টার পালন করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন