বালির বহুতলের অনুমোদন বাতিল 

মেয়র এবং মেয়র পারিষদদের এড়িয়ে বহুতলের দ্রুত অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়নের গতি শ্লথ করার অভিযোগ ছিল পুর কমিশনারের বিরুদ্ধে। সোমবার এ নিয়ে হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী, মেয়র পরিষদের এক বিশেষ সভা ডাকেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৬
Share:

হাওড়া পুরসভা। ফাইল চিত্র।

বালির ১৮টি বহুতলের অনুমোদন বাতিল করে দিল হাওড়া পুরসভা। পাশাপাশি শিল্পের জমিতে আন্দুলে চারটি ১৮ তলা টাওয়ারের যে আবাসন তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেল।

Advertisement

মেয়র এবং মেয়র পারিষদদের এড়িয়ে বহুতলের দ্রুত অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়নের গতি শ্লথ করার অভিযোগ ছিল পুর কমিশনারের বিরুদ্ধে। সোমবার এ নিয়ে হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী, মেয়র পরিষদের এক বিশেষ সভা ডাকেন। সেখানে অভিযোগ তোলা হয়, মেয়র পারিষদদের অন্ধকারে রেখে আন্দুল রোডের একটি আবাসনের চারটি ১৮ তলা টাওয়ারের ও বালির ১৮টি বহুতলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার পুরকর্তাদের অভিযোগ, বালিতে কোনও বরো না থাকা সত্ত্বেও ওই বহুতলগুলির তড়িঘড়ি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেগুলির অনুমোদন বাতিল করা হয় এ দিনের সভায়। পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণার বক্তব্য, বহুতলগুলির অনুমোদন দীর্ঘ দিন আটকে থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

বৈঠকে মেয়র পারিষদেরা অভিযোগ করেন, এক দিকে, তাঁদের না জানিয়ে বিল্ডিং ফাইল অনুমোদন করা হচ্ছে। অথচ অন্য দিকে, বিভিন্ন দফতরের জরুরি ফাইল পুর কমিশনারের দফতরে আটকে থাকায় উন্নয়নের গতি থমকে রয়েছে। ফলে পুরসভা রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে। বিল্ডিং, নিকাশি, পার্ক ও উদ্যান, কর মূল্যায়ন দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের কাজের গতি নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তোলেন মেয়র পারিষদেরা। পুর কর্তাদের বক্তব্য, এ বছরই পুর নির্বাচন। অথচ ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংস্কার, ডুমুরজলার সৌন্দর্যায়ন, আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল, বেজপুকুর মাঠে ভূগর্ভস্থ জলাধার, রাস্তা, আলো-সহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ থমকে যাওয়ায় তার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

Advertisement

হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সব ফাইল আটকে দেওয়ায় কাজের গতি কমে গিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ ভোটের আগে শেষ করে দিতে চাইছি। অথচ পুর কমিশনার কী জন্য ফাইল আটকে রাখছেন, কেন আমাকে ও মেয়র পারিষদদের এড়িয়ে বিল্ডিং-এর অনুমোদন দিচ্ছেন তা পরিষ্কার নয়।’’

যদিও পুর কমিশনারের উত্তর, ‘‘সবই মেয়র ও মেয়র পারিষদদের জানিয়ে করা হয়েছে। আমি ফাইল তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিই। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় সব ফাইল ছাড়া যায়নি, সেগুলি তাড়াতাড়ি ছাড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ এ দিন বৈঠকের পরে হাওড়ার পুর কমিশনারের সঙ্গে তৃণমূল শাসিত পুরবোর্ডের দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হল বলে মনে করছে পুরসভার একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন