Mysterious death

গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ধৃত স্বামী-সহ তিন

গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল মনোজিতের স্ত্রী রিনি দেবনাথকে। তাঁকেউদ্ধার করে দমদম পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ০৭:৩৩
Share:

রিনি দেবনাথ। ফাইল ছবি।

এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে মৃতার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে দমদম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মনোজিৎ দাম, অরূপ দাম এবং কল্পনা দাম।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল মনোজিতের স্ত্রী রিনি দেবনাথকে। তাঁকে উদ্ধার করে দমদম পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার মৃতার পরিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে খুন ও বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এর পরে সেই রাতেই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সূত্রের দাবি, রিনির পরিবারের অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্তেরা। যদিও তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় পরে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ময়না তদন্তের পরে গৃহবধূর শেষকৃত্য হয়।

রিনির পরিবারের সদস্যেরা বর্তমানে নিউ ব্যারাকপুরে থাকেন। পরিবার সূত্রের খবর, আট-ন’মাস আগে দমদমের সুভাষনগরের বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক মনোজিতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রিনির। তাঁর ভাই ঋষভ দেবনাথ শনিবার জানান, ঘটনার দিন তাঁর শরীর খারাপ থাকায় রিনি দেখতে এসেছিলেন। রাতে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হয় রিনির। সে সময়ে তাঁর কথায় তেমন কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়নি। অনেক রাতে রিনি অসুস্থ বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে এবং তাঁদের হাসপাতালে যেতে বলা হয়। অনেক বার জিজ্ঞাসা করার পরে তাঁরা অবশেষে জানান যে, রিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। ঋষভ বলেন, ‘‘হাসপাতালে গিয়ে দেখি, দিদির মুখের বাঁ দিকটা নীল হয়ে গিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে গিয়েছিল।’’ রিনিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ।তাঁদের আরও দাবি, রিনি আত্মঘাতী হতে পারেন না। তাঁর বিয়ের কিছু দিন পর থেকে অশান্তি শুরু হয়েছিল। এক বার রিনির পরিবারের সদস্যেরা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মিটমাট করে আসেন বলেও দাবি।

Advertisement

এক পুলিশকর্তা জানান, সব দিক থেকে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন