BJP

হিম্মত থাকলে ‘ভাইপো’র নাম বলুন, তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি

কোনও রাজনৈতিক নেতার সন্তান বা সন্তানস্থানীয় কেউ রাজনীতিতে এলে তা নিয়ে কটাক্ষ কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন কুণাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৩৯
Share:

কৈলাসের ছেলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন কুণাল। গ্রাফিক: অসীম রায়চৌধুরী

তৃণমূলকে ‘ভাইপো’ নিয়ে আক্রমণ শানানো কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ‘ভাইপো’ অস্ত্রেই পাল্টা আক্রমণে গেল তৃণমূল। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের সভায় সরাসরি নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং এ রাজ্যের দায়িত্বে থাকা কৈলাস। রবিবার তৃণমূল ভবনে তার জবাব দিতে গিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের চ্যালে়ঞ্জ, “ভাইপো না বলে, হিম্মত থাকলে নাম করে রাজনৈতিক সমালোচনা করুন।” কুণালের দাবি, তাঁর দলের যুবনেতার চরিত্রহনন করতেই বিজেপি এ সব বলছে।

Advertisement

কোনও রাজনৈতিক নেতার সন্তান বা সন্তানস্থানীয় কেউ রাজনীতিতে এলে তা নিয়ে কটাক্ষ কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন কুণাল। ‘‘একজন চিকিৎসকের ছেলে চিকিৎসক হতে পারেন না? একজন আইনজীবীর ছেলে আইনজীবী হবে পারেন না?”— প্রশ্ন কুণালের। বিজেপি-র পারিবারিক সূত্রে রাজনীতিতে আসাদের দীর্ঘ তালিকাও তার হাতে আছে বলে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “একজন রাজনীতিবিদের পরিবারের লোকেরও অধিকার রয়েছে রাজনীতিতে আসার।” তাঁর দাবি, রাজনৈতিক লড়াইতে ভয় পেয়েই ‘কুত্সায় নেমেছে’ বিজেপি।

কৈলাসকে লক্ষ্য করেই কুণাল বলেন, “আপনার ভাইপো তো বিসিসিআই-এর কর্তা হয়ে বসে আছেন। তার বিষয় কিছু বলেন না কেন আপনারা?” কুণালের বলা এই ‘ভাইপো’ যে অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ, সেটা বুঝতে অসুবিধে হয় না।

Advertisement

কৈলাসের ছেলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন কুণাল। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, “আমি নাম করে বলছি... কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক... তিনি প্রকাশ্যে পুরকর্মীদের ব্যাট দিয়ে মেরেছিলেন। তখন কেন কিছু বলেননি?”

অভিষেককে নাম না করে আক্রমণের প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এতে রাজনৈতিক শিষ্টতার কোনও বিষয় নেই। দিদি বললে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝানো হয় তা রাজ্যবাসী জানেন। তা হলে অসুবিধা কোথায়? আমরা ঠিক সময়ে যাঁর নাম নেওয়ার নেবো।’’

আরও পড়ুন: পাহাড়ে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠকে বিরোধী দলনেতা মান্নান

কুণাল প্রশ্ন তুলেছিলেন, এক সময় ‘ভাগ মুকুল ভাগ’ বলা পার্টি আজ সেই মুকুলকেই সর্বভারতীয় নেতার পদে বসালো কী করে! এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন দিলীপ।

আরও পড়ুন: ১৮ মাস নেতাহীন কংগ্রেস, বিরোধী দল হিসেবে কার্যকরী নয়, মন্তব্য কপিল সিব্বলের

কুণালের সাংবাদিক বৈঠকে রবিবার উঠে এসেছে সারদা, নারদা থেকে সিন্ডিকেটের মতো প্রসঙ্গও। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলে তিতিবিরক্ত হয়ে তিন-চারজন সাংসদ নাকি নিয়মিত তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন