পরিকল্পনা মাফিক অন্যের ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি দিয়ে হোটেল ভাড়া নেন অভিযুক্ত। রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের হোটেলে তরুণী ও শিশুখুনের তদন্তে এমনই জেনেছে পুলিশ। ওই দুষ্কৃতীর খোঁজ করতে এক ট্যাক্সিচালককেও খুঁজছে পুলিশ। সেই ট্যাক্সিতেই ওই দুষ্কৃতী তরুণী ও শিশুকে নিয়ে নিউ মার্কেটের একটি হোটেলে গিয়েছিল ঘর ভাড়া নিতে।
গোয়েন্দারা জানান, সোমবার ওই দুষ্কৃতী নালন্দার শিলাও-এর বাসিন্দা শম্ভুকুমার গুপ্তের ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিয়ে ঘর ভাড়া নেয়। পুলিশের একটি দল নালন্দার ওই গ্রামে গিয়ে শম্ভুকুমার গুপ্তের খোঁজ পান। শম্ভুবাবু পুলিশকে জানান, তিনি কখনও কলকাতায় যাননি। হোটেল থেকে উদ্ধার মহিলা ও শিশুর ছবি দেখে স্থানীয়েরাও চিনতে পারেননি। ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি দেখেও হোটেলকর্মীরা অভিযুক্তের মুখ মেলাতে পারলেন না কেন এবং হোটেলে নাম নথিভুক্তির সময়ে অভিযুক্তের ফোন নম্বর নেওয়া হয়নি কেন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সোমবার রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের ওই হোটেলে তিন জনকে নিয়ে আসেন এক দালাল। যে ট্যাক্সিতে দালাল তাঁদের নিয়ে আসেন, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেই ট্যাক্সিচালকেরও খোঁজ চলছে। মৃত তরুণী ও শিশুর পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের অনুমান, তারা বিহারের বাসিন্দা ও সোমবার তাঁরা কলকাতায় আসেন। কোন ট্রেনে আসেন, তা জানতে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে পুলিশ।