অ্যাপোলো, মেডিকার পরে এ বার ক্যালকাটা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএমআরআই)-এর বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলার তদন্ত শুরু করল পুলিশ।
ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুতে অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও গাফিলতির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। মেডিকার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন পাটুলির যুবক সুনীল পাণ্ডের স্ত্রী। মেডিকায় মৃত্যু হয়েছিল সুনীলের। ওই দু’টি ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি তদন্ত করছে পুলিশও।
সিএমআরআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কুলতলিতে লরির ধাক্কায় পা হারানো সুনীল পাত্রকে ভর্তি নেয়নি। এর জেরে সুনীলের কাটা পা যেমন আর জোড়া দেওয়া যায়নি, তেমনই তাঁর শারীরিক অবস্থারও অবনতি হয়। সিএমআরআই-এর বিরুদ্ধে এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতর তদন্ত শুরু করে। রবিবার সুনীলের পরিবার রোগী ফেরানোর অভিযোগে সিএমআরআই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু করেছে আলিপুর থানার পুলিশ। আজ, সোমবার থেকে সিএমআরআই-এর সংশ্লিষ্ট কর্মী ও কর্তাদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রথমে ডাকা হয়েছে ফ্রন্ট ডেস্কের দুই কর্মীকে। বুধবার দুর্ঘটনার পর কাটা পা প্লাস্টিকে মুড়িয়ে সুনীলকে নিয়ে তাঁর পরিজনেরা সিএমআরআই-তে ভর্তি করতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত।
৫০ হাজার টাকা না দিতে পারায় বুধবার যে ভাবে মরণাপন্ন রোগীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন সিএমআরআই কর্তৃপক্ষ, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নবান্ন ও স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, হাসপাতাল প্রথমে অস্বীকার করলেও সিসিটিভি-তে দেখা যায়, সুনীলকে সত্যিই ফেরানো হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ওই হাসপাতালকে শো-কজের চিঠিও পাঠায় স্বাস্থ্য দফতর।
কয়েক দিন আগেই রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মুমূর্ষুকে হাসপাতাল থেকে ফেরানো যাবে না। টাকার জন্য বন্ধ রাখা যাবে না আহতের চিকিৎসা। তবু যে বহু বেসরকারি হাসপাতালেরই হেলদোল নেই, তা দেখেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। সুনীল পাত্র এখন পিজি-তে ভর্তি। তাঁর এক আত্মীয় বলেন, ‘‘আগের থেকে ভাল আছেন সুনীল। তাঁকে রবিবার আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’’