ভারা ভেঙে পড়ল ছাদে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বস্তির একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন দুই বোন, রিয়া ও পিউ। পাশের ঘরে রান্না করছিলেন মা আশা পাল। হঠাৎ পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলের ভারাটি ভেঙে পড়ে অ্যাসবেস্টসের ছাদের উপরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩৬
Share:

অঘটন: ভারা পড়ে ভেঙেছে ছাদ। সোমবার, ট্যাংরায়। নিজস্ব চিত্র

নির্মীয়মাণ এক বহুতলের লোহার ভারা অন্য দুই বাড়ির উপরে ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছেন তিন জন। পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ছ’টা নাগাদ ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। একটি বাড়িতে কেউ হতাহত না হলেও পাশের বাড়ির মা ও দুই মেয়ে আহত হন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বস্তির একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন দুই বোন, রিয়া ও পিউ। পাশের ঘরে রান্না করছিলেন মা আশা পাল। হঠাৎ পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলের ভারাটি ভেঙে পড়ে অ্যাসবেস্টসের ছাদের উপরে। দুই বোন জখম হন। আশাদেবীর মাথা ফেটে যায়। তিন জনকেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আশাদেবীর তিনটি ঘরই ক্ষতিগ্রস্ত। মাথার উপরে ছাউনি বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। বৃষ্টিতে বাড়ি জলে থইথই। আশাদেবী ও দুই মেয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুতল কর্তৃপক্ষের অসাবধানতার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। আশাদেবীর স্বামী নিমাই পাল বলেন, ‘‘আমরা গরিব। এই মুহূর্তে মাথার উপরে ছাউনি বলতে কিছু নেই। অবিলম্বে আমাদের বাড়ি সংস্কারের জন্য ওই নির্মাণকারী সংস্থাকে বলেছি।’’ এই ঘটনায় ওই বহুতল সংস্থার গাফিলতি আছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত করছে ট্যাংরা থানা। ওই বহুতলের তরফে বিনোদ শর্মা বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ওই পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেব।’’

Advertisement

এ দিকে, এ দিন দুপুরে আলিপুর থানার গোপালনগর রোডে একটি দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বাড়ির মধ্যে আটকে থাকা বারো জনকে নিরাপদেই সরানো হয়েছে। পুরসভার তরফে আগেই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন