নেতাজিনগরের বাসিন্দা, প্রৌঢ়া গৌরী সেনের খুনের কিনারা হল না এখনও। তবে তদন্তকারীদের ধারণা, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। প্রাথমিক ভাবে গৌরীদেবীর স্বামীকেও সন্দেহের বাইরে রাখছে না পুলিশ।
সোমবার পুলিশের এক কর্তা জানান, ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। তাতে শ্বাসরোধ করে খুনের পাশাপাশি ওই ঘটনায় একাধিক লোকের যুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছে।
শনিবার সকালে নেতাজিনগরের একটি বাড়ির একতলা থেকে কম্বল-তোশকে জড়ানো, গামছায় বাঁধা গৌরীদেবীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জেনেছে, গৌরীদেবী একা থাকলেও মাঝেমধ্যে তাঁর স্বামী এসে ওই বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু গত দু’মাস তিনি আসেননি। ঘটনার দিন তাঁর স্বামী কলকাতায় থাকলেও নেতাজিনগরে আসেননি। পুলিশ এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।
তদন্তে জানা যায়, গৌরীদেবী যে বাড়ির ভাড়াটে ছিলেন, তার উপরতলায় থাকেন বাড়িওয়ালা রবি সাহা। শনিবার তিনিই দরজা খুলতে গিয়ে দেখেন, সেটি নীচ থেকে বন্ধ। রবিবাবু এক প্রতিবেশীকে ডেকে দরজা খোলান। পুলিশ জানতে পেরেছে, দোতলা থেকে একতলায় নামার দরজা শুধু বন্ধ নয়, তালা দিয়ে রেখেছিল খুনি বা খুনিরা। তবে খুনের পরে বাড়ি ছাড়ার আগে চাবিটা দরজার একপাশে রেখে গিয়েছিল তারা। গৌরীদেবীর ঘরের পিছনের জানলার গ্রিল কেটে ঢুকলেও বেরোনোর সময়ে কিন্তু খুনি বা খুনিরা মূল গেটের তালা খুলেই বেরোয়। ফলে যারা গৌরীদেবীকে খুন করেছে, তারা বাড়ির খুঁটিনাটি জানত।
গৌরীদেবীর ঘরে আলমারি-সহ সব লন্ডভন্ড থাকলেও কিছু চুরি যায়নি বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন তাঁর স্বামী। উত্তরবঙ্গ পরিবহণ দফতরে কাজ করতেন গৌরীদেবী। অবসরের পরে তিনি কত টাকা পেয়েছিলেন এবং সেই টাকা কোথায় রয়েছে বা তার উত্তরাধিকারী কে, সে সব বিষয়েও জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।