সিলিন্ডার ফাটার পরে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন ভোপাল হালদার। রবিবার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। নিজস্ব চিত্র
বাতানুকূল গাড়িতে সিলিন্ডার কোলে শুইয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন হাট বকুলতলার ভোপাল হালদার। রবিবার দুপুরে তাতেই ঘটে গেল চরম বিপত্তি। দমকলকর্তারা বলছেন, কোনও গাড়িতে এমন কাত করে সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া বেআইনি। কারণ, গ্যাস সিলিন্ডার শুইয়ে নিয়ে গেলেই তার চাপের তারতম্য ঘটে। সেই তারতম্য থেকেই বিপদ ঘটতে পারে। দমকলের এক পদস্থ কর্তা জানান, টেম্পো, ট্রাক বা ভ্যানে সোজাসুজি ভাবে বসিয়েই গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া নিয়ম। ঠিক যে ভাবে এলপিজি সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া হয়।
এক দমকলকর্তার ব্যাখ্যা, সিল করা জলের বোতলে যেমন কিছুটা অংশ খালি রাখা হয়, সিলিন্ডারেও তেমন কিছুটা গ্যাস কম রাখা হয়। এটা নিরাপত্তার কারণেই করা হয়ে থাকে। কিন্তু জলের বোতল কাত করে শুইয়ে দিলে যেমন জল মুখ পর্যন্ত চলে আসে, গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও ঘটে তেমনটাই। মুখের কাছে চলে এসে তা ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। সেই চাপের ফলেই নব বা নজ্ল ফেটে গিয়ে বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকে।
কিন্তু এ ভাবে যে নিত্যদিনই সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিনও বিপদ না ঘটলে বিষয়টি কেউ টের পেত না। কোনও কাজের দিনে শহরের ব্যস্ত মো়ড়ে এমন ঘটনা ঘটলে কী হবে, এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এমন বিষয় নজরে এলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু কে বাড়ি থেকে গাড়ির ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাচ্ছে, তা বোঝা সহজ নয়। এ ব্যাপারে নাগরিকদের সচেতনতাও প্রয়োজন বলে ওই সূত্রের দাবি।