গৃহশিক্ষিকার কাছ থেকে পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ডেকেছিল পাড়ার ‘জেঠু’। তা শুনে বিপদের আঁচ পায়নি যাদবপুরের একটি কলোনি এলাকার ৭ ও ৮ বছরের মেয়ে দু’টি। সরল মনেই জেঠুর সঙ্গে তার বাড়ি গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেই যেন বদলে গিয়েছিল পরিচিত ‘জেঠু’র রূপ। পুলিশ জানাচ্ছে, যাদবপুরের ৫০ বছর বয়সী দেবা পুরকায়স্থ নামে ওই ব্যক্তি ফাঁকা ঘরে ওই দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি।
সেই ঘটনার প্রায় সাড়ে ছ’বছর পরে বৃহস্পতিবার দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দেবা পুরকায়স্থ নামে ওই ব্যক্তিকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আলিপুর আদালত। আলিপুরের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক গৌরসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেবাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন তিনি। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ধর্ষণের কথা জানাজানি হতেই এক নাবালিকার বাবা যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবাকে। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর বয়ান এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার দেবাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আদালত জানিয়েছে, দেবার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ১ লক্ষ টাকা আদায় করা হলে তা দুই নির্যাতিতাকে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। অনাদায়ে দেবাকে আরও এক বছর সাজা ভোগ করতে হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দেবার মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। সে দিন ঘটনার সময় তাঁরা কেউ বাড়ি ছিলেন না। এ দিন অবশ্য স্বামীর সাজা ঘোষণার সময় আদালতে হাজির হয়েছিলেন দেবার স্ত্রী।