সাফাইয়ের হাল দেখতে এসে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সদস্য

ফেরার পথে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুর প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৬
Share:

ন্যাশনাল কমিশন ফর সাফাই কর্মচারীজ-এর সদস্য তথা বিজেপি নেতা জগদীশ হিরেমানি। —ফাইল চিত্র।

সাফাইয়ের কাজ কেমন চলছে, সাফাইকর্মীদের কী অবস্থা— বুধবার শহরে তা জানতে এসেছিলেন ন্যাশনাল কমিশন ফর সাফাই কর্মচারীজ-এর সদস্য তথা বিজেপি নেতা জগদীশ হিরেমানি। কিন্তু ফেরার পথে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুর প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই বিভিন্ন রাজ্যের সাফাই কর্মচারীদের হাল হকিকত দেখতে ঘুরছেন তিনি বিভিন্ন রাজ্যে। সে কাজেই এ দিন আসেন শহরে। তবে সাফাইয়ের কাজ নিয়ে যতটা না ক্ষোভ, তার থেকে বেশি পুর অফিসারদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার সাফাই সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানার দরকার ছিল। তা সংগ্রহ করতে গিয়ে বুঝতে পারি আমি কে, কেন এসেছি— তা জানানো হয়নি অন্য অফিসারদের।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘এক জন অফিসারকে আমার সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। তিনি অন্য এক জনের কাছে আমাকে নিয়ে গিয়ে বলেন, ইনি এক জন অফিসার। কিছু জানতে চান। বলে দিন।’’ দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, কলকাতা পুর প্রশাসনের এমন ব্যবহারের কথা মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে জানাবেন।

পুরসভা সূত্রের খবর, তাঁরা যে আসবেন এ দিন সকালে পুর কর্তাদের কাছে সেই বার্তা পৌঁছয়। সেই মতো দুই অফিসারকে তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল। যদিও পুরসভার কঠিন বর্জ্য অপসারণ দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। বিরক্তির শুরু সেখানে। বিকেলে পুর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে তাঁকে পুষ্পস্তবক দেওয়া হবে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। তাতে তিনি আরও ক্ষেপে বলেন, ‘‘কাউকে কি জিজ্ঞেস করে সম্মান দিতে হয়!’’ সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, এখানে সাফাই কর্মীদের গ্লাভস, আ্যাপ্রন বা মুখ ঢাকার কিছু দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, ‘‘যে সব রাজ্যে ঘুরেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখানে।’’ কেন্দ্রে সাফাই কর্মচারী ফিনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন রয়েছে। তাঁদের জন্য ঋণ দেওয়া হয় সেখান থেকে। এ রাজ্য থেকে কোনও আবেদন করা হয়নি।

Advertisement

এ দিকে, হিরেমানির অভিযোগ প্রসঙ্গে এক পুর অফিসার বলেন, ‘‘আমাদের যত জ্বালা। কেন্দ্র থেকে আসা কমিশনের ওই সদস্য বিজেপি নেতা বলে গুরুত্ব দিতে পারি না পুর কর্তৃপক্ষের ভয়ে। আবার কম গুরুত্ব দিলে তাঁদের সমস্যা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন