জয়পুরিয়া

বৈঠক ছেড়ে গেলেন অধ্যক্ষ

ফের বিতর্কে জয়পুরিয়া কলেজ। ছাত্র সংঘর্ষ নয়, এ বার অধ্যক্ষ বনাম পরিচালন সমিতির একাংশের সংঘাত। কলেজ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়ের কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ঘিরে শুরু হয় বাদানুবাদ। তা কার্যত সংঘাতে গড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৫
Share:

ফের বিতর্কে জয়পুরিয়া কলেজ। ছাত্র সংঘর্ষ নয়, এ বার অধ্যক্ষ বনাম পরিচালন সমিতির একাংশের সংঘাত।

Advertisement

কলেজ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়ের কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ঘিরে শুরু হয় বাদানুবাদ। তা কার্যত সংঘাতে গড়ায়। বৈঠক চলাককালীনই অপমানিত বোধ করে বেরিয়ে আসেন অধ্যক্ষ।

অশোকবাবু জানান, তিন মাস আগে থেকেই তিনি জিনঘটিত চর্মরোগ ‘পেমফিগাস’-এ আক্রান্ত। সে কারণে জুন মাস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। কাজে যোগ দেন ৭ সেপ্টেম্বর। ১২ সেপ্টেম্বর তাঁকে নিগ্রহ করে দুই যুবক। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ দিন পরিচালন সমিতির বৈঠকে ফের তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ অশোকবাবুর। তিনি কার অনুমতি নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন, এই নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে। অশোকবাবুর দাবি, অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি এতে অপমানিত বোধ করেন এবং বৈঠকের মাঝপথে বেরিয়ে আসেন।

Advertisement

পরিচালন সমিতির এক সদস্য অবশ্য বলেন, ‘‘অধ্যক্ষকে অপমান করার মতো কিছু বলা হয়নি। উনি কারও অনুমতি না নিয়েই কাজে যোগ দিয়েছেন, যা নিয়ম-বিরুদ্ধ।’’ ওই সদস্যের আরও বক্তব্য, অধ্যক্ষের ডাক্তারি সার্টিফিকেটে লেখা আছে, তিনি ‘লাইট ওয়ার্ক’ করতে পারবেন। কিন্তু এক জন অধ্যক্ষের কখনওই হালকা কাজ থাকতে পারে না। সে কারণেই সমিতির একাংশ তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করে। অধ্যক্ষ অবশ্য জানান, কাউকে জানিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে তেমন নিয়ম নেই। পরিচালন সমিতিই তাঁকে জানায়, যে কোনও দিন তিনি যোগ দিতে পারেন।

অন্য দিকে, অভিযোগ জানানোর পরে ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও অশোকবাবুর উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চিহ্নিতই করতে পারল না পুলিশ। তাই অশোকবাবুর বয়ান অনুযায়ী হামলাকারীদের স্কেচ আঁকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানায়, যে দুই যুবক অশোকবাবুকে মারধর করে বলে অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে মারধর, জোর করে আটকে রাখা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, দীনেন্দ্র স্ট্রিটে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কাছে অশোকবাবুর গাড়িটি আটকায়। ওই জায়গাটি মোড় থেকে বেশ খানিকটা দূরে। তাই ওই মোড়ে যে সিসিটিভি রয়েছে, তাতে অশোকবাবুর উপরে হামলার ছবি অস্পষ্ট। তাই হামলাকারীদের স্কেচ আঁকানো হচ্ছে। অশোকবাবু বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন