অ্যাডমিট দেওয়া হবে না ১৬ পড়ুয়াকে

এ বছর বাণিজ্য বিভাগের প্রথম সিমেস্টারে অনার্স ও জেনারেলে মোট ৬৫৫ জন পড়ুয়া রয়েছেন। তার মধ্যে ১৩৪ জনের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকায় তাঁদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১২
Share:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।

শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজের আবেদনের প্রেক্ষিতে অবশেষে ১৬ জন পড়ুয়াকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া বন্ধ করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক কর বলেন, ‘‘কলেজের অধ্যক্ষের চিঠি পেয়েছি। যে পড়ুয়াদের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি নেই, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ অর্থাৎ, যে সব পড়ুয়ার উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশের কম, তাঁরা বাণিজ্যে স্নাতকের প্রথম সিমেস্টারে পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলেই জানান দীপকবাবু।

Advertisement

এ বছর বাণিজ্য বিভাগের প্রথম সিমেস্টারে অনার্স ও জেনারেলে মোট ৬৫৫ জন পড়ুয়া রয়েছেন। তার মধ্যে ১৩৪ জনের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকায় তাঁদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় কলেজের সান্ধ্য বিভাগের ৩২ জনকে ১০ শতাংশ ছাড় দিয়ে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন ফর্ম পূরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ও তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে জয়পুরিয়া কলেজের দু’জন শিফ্‌ট ইনচার্জ ও দু’জন বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগ করেন। যার জেরে হইচই পড়ে যায় শিক্ষামহলে। পরে বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ ভুল স্বীকার করে ওই ৩২ জনের অনুমোদন বাতিল করার আবেদন জানান। এঁদের মধ্যে যেহেতু ১৬ জন ফর্ম পূরণ করে ফেলেছিলেন (যদিও আগে জানানো হয়েছিল সংখ্যাটি ১৮), তাই ইতিমধ্যে তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ দিন সেই প্রক্রিয়াই বন্ধ করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘অনিচ্ছাকৃত ভুল করায় আগেও তালিকা সংশোধন হয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষ নিজে ছাড় দিয়ে ফের ভুল স্বীকার করেছেন, এমন নজির নেই।’’ তিনি জানান, প্রতিটি বিভাগে এত পড়ুয়া থাকেন যে প্রত্যেকের উপস্থিতি খতিয়ে দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয়। তাই কলেজের দিক থেকে কোনও গাফিলতি থাকলে সেটা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বোঝাপাড়ায় সমস্যা হয়। অধ্যক্ষ অশোকবাবু অবশ্য এ দিন বলেন, ‘‘ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে। সমস্যা মিটে গিয়েছে। সব নিয়ম মেনে হওয়াই ভাল।’’ আগামী সপ্তাহে শিক্ষকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বৈঠক হ‌তে পারে।

Advertisement

সোমবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাজিরার বিষয়ে অধ্যক্ষদের কড়া হতে হবে। জয়পুরিয়ার অধ্যক্ষ বিষয়টি বুঝে সিদ্ধান্ত বদলেছেন। অন্য অধ্যক্ষদেরও হাজিরার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন