এনআরএস

জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে এ বার ‘প্রহৃত’ পুলিশ

রোগীদের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বচসা, হাতাহাতির অভিযোগ প্রায়ই সামনে আসে। এ বার রোগী ভর্তি করাতে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের রোষের মুখে পড়ল পুলিশও। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় এনআরএসে এক ভবঘুরেকে ভর্তি করতে গিয়ে তাঁদের হাতে মার খান মানিকতলা থানার এক মহিলা কনস্টেবল-সহ তিন পুলিশকর্মী।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৫ ০২:০৯
Share:

রোগীদের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বচসা, হাতাহাতির অভিযোগ প্রায়ই সামনে আসে। এ বার রোগী ভর্তি করাতে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের রোষের মুখে পড়ল পুলিশও। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় এনআরএসে এক ভবঘুরেকে ভর্তি করতে গিয়ে তাঁদের হাতে মার খান মানিকতলা থানার এক মহিলা কনস্টেবল-সহ তিন পুলিশকর্মী। ঘটনাচক্রে, গত বছর এই হাসপাতালের ছাত্রাবাসে জুনিয়র ডাক্তারদের হাতেই মার খেয়ে খুন হন কোরপান শাহ।

Advertisement

হাসপাতাল সুপার শেখ আলি আমাম রবিবারের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে চাননি। বিষয়টির তদন্ত হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের ঘিরে নানা সমস্যায় জেরবার হচ্ছি। সোমবার গোটা বিষয়টি বিস্তারিত খোঁজ নেব। তার পরে ব্যবস্থা নেব।’’

এ দিন এক আহত ভবঘুরেকে এনআরএসের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যান মানিকতলা থানার তিন পুলিশকর্মী। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে ইমার্জেন্সি ওটি-তে ড্রেসিংয়ে পাঠান। পুলিশের অভিযোগ, ওটি-র জুনিয়র ডাক্তারেরা রোগীকে ভর্তির সময় থেকেই দুর্ব্যবহার করছিলেন। তাঁরা জানান, ওটি-তে থাকতে হবে পুলিশদের। কিন্তু তাঁরা ওই ভবঘুরেকে ভর্তি করে ডিউটিতে ফিরতে চাইলে ডাক্তারেরা বাধা দেন। এক পুলিশকর্মী সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কিছু জুনিয়র ডাক্তার চড়াও হন বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁরা পুলিশকে ধাক্কা দিয়েও আটকান। আহত হন দুই পুলিশকর্মী। মহিলা পুলিশকর্মীও হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পৌঁছন ডিসি (ইএসডি) ধ্রুবজ্যোতি দে-সহ এন্টালি থানার কর্তারা। রাতেই ওই জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন