পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। বিচারপতি বলেন, ‘‘পুলিশের উচিত তদন্তে নেমে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া। এখন দেখা যাচ্ছে সরাসরি তদন্ত এড়াতে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ।’’
পুলিশ জানায়, ২০১৫-র ১৬ ডিসেম্বর বেসরকারি কয়েকটি সংস্থার কাঁচা মাল নিয়ে পাঁচটি ট্রাক নিউ টাউন দিয়ে যাওয়ার সময়ে আজিবর মোল্লা ও তার দল বন্দুক দেখিয়ে ট্রাক থামিয়ে সেগুলি লুঠ করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই সংস্থার এক প্রতিনিধি চালকদের নিয়ে নিউ টাউন থানায় এফআইআর করতে গেলে তা নেওয়া দূর, পুলিশ জেনারেল ডায়েরি নেয়নি। ২১ ডিসেম্বর রেজিস্টার্ড পোস্টে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বারাসতে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২৩ ডিসেম্বর অভিযোগ জানানো হয়। বারাসত আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে। সংস্থার আইনজীবী রাজা বিশ্বাসের অভিযোগ, তার পরেও পুলিশ নড়ে বসেনি। তাই চলতি বছরের ১৫ জুন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
বিচারপতি এ দিন সরকারি কৌঁসুলির কাছে জানতে চান, পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি জানান, পুলিশ স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। তা শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, ‘‘ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সরাসরি তদন্ত শুরু করতে পারল না পুলিশ? সিসিটিভি-র ফুটেজ খতিয়ে দেখার অজুহাতে তদন্তের কাজ এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে না কি?’’ এ দিন বিচারপতি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই পাঁচ চালকের বয়ান নথিভুক্ত করে তদন্তে কি অগ্রগতি হল তা এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে জানাতে।