কালীঘাট মন্দির চত্বর সংস্কারের জন্য সরছে দোকান

কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মাটি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মন্দির চত্বরের ভিতরে এবং বাইরে যে সব দোকান রয়েছে সেগুলি সরানোর জন্য সামনের রাস্তা খোঁড়াও শুরু হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

জোরকদমে: চলছে দোকানের কাজ। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

অবশেষে কালীঘাট মন্দির চত্বর সংস্কারের কাজ শুরু হল।

Advertisement

কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মাটি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মন্দির চত্বরের ভিতরে এবং বাইরে যে সব দোকান রয়েছে সেগুলি সরানোর জন্য সামনের রাস্তা খোঁড়াও শুরু হয়েছে। কারণ ওই দোকানগুলি অস্থায়ী ভাবে রাস্তার উপরে হবে। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ৮৭ জন তালিকাভুক্ত দোকানদারকে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে। দোকানগুলি সরানোর পরেই মন্দিরের সংস্কার শুরু করবেন পুরকর্তৃপক্ষ। কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে একটি বাইরের সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্দির চত্বরের বাইরে কোনও এক ধারে পরবর্তীকালে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হবে দোকানগুলি। নতুন স্থায়ী দোকানের কাজ শেষ হলে সেখানে সব দোকানদারেরা জায়গা পাবেন। পরবর্তী পর্যায়ে পুরনো কালীঘাট মন্দিরের কাঠামো মেনেই মূল সংস্কার কাজ হবে।

কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, প্রকল্পের প্রাথমিক রিপোর্টে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে মন্দির চত্বরের বর্তমান পাঁচিল ভেঙে ফেলা হবে। দুধ পুকুরকে এমন ভাবে ঘেরা হবে, যাতে সংস্কারের ফলে সেটি মন্দির চত্বরে ঢোকানো যায়। তেমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মন্দিরের ঠিক বাইরেই রয়েছে দুধপুকুর। পুণ্যার্থীদের অনেকেই পুজো করে দুধ পুকুরে যান। ফলে মন্দির চত্বরেই দুধপুকুর থাকলে পু্ণ্যার্থীদের সুবিধা হবে বলে মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই কালীঘাট মন্দির সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সিদ্ধান্ত হয়েছিল কালীঘাট চত্বর নতুন করে সাজানোর জন্য হকারদের স্থানান্তরিত করা হবে। মন্দির চত্বর পরিষ্কার রাখতেই এমন উদ্যোগ। স্থানীয় কাউন্সিলর এবং মন্দির কমিটির অন্যতম সদস্য মঞ্জুশ্রী মজুমদার বলেন, ‘‘আপাতত মন্দিরের বাইরে দোকানদারদের পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ হচ্ছে। সমগ্র প্রকল্প সময়সাপেক্ষ বলে তিনি জানান।

কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের আরও একটি অংশ হিসাবে তৈরি হচ্ছে স্কাইওয়াক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বরের আদলে স্কাইওয়াক তৈরির কথা ঘোষণা করার পরেই এই উদ্যোগ। কলকাতা পুরসভাকেই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশাও অনুমোদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির সংস্কার, চত্বর সৌন্দর্যায়ন এবং স্কাইওয়াক

তৈরি হলে কালীঘাটের আমূল পরিবর্তন হবে বলে মন্দির ও পুরকর্তৃপক্ষ জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন