এক দিনের ব্যবধানেই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বদলে আলোচনা শুরু হয়েছে কলকাতা পুরসভার অন্দরে।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, বরো স্তর থেকে কলকাতা পুর এলাকার সব পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরে বদলে গেল সেই সিদ্ধান্ত। স্থির হল, বরো নয়, কেন্দ্রীয় পুরভবন থেকেই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সব কাজ হবে। যেমনটা এত দিন হয়ে এসেছে।
এক দিনের ব্যবধানেই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বদলে আলোচনা শুরু হয়েছে কলকাতা পুরসভার অন্দরে। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, কাউন্সিলরদের উদ্যান বিলাসে রাশ টানার চিন্তাভাবনা হয়েছিল আগেই, নতুন এই সিদ্ধান্ত তারই ফল।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করে প্রথমে পুর প্রশাসন জানায়, বরো স্তর থেকে পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হোক। তার পিছনে পুর কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, শহরে প্রায় ৭০০টি পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ অনেক সময়ে কেন্দ্রীয় ভাবে করা সম্ভব হয় না। কাউন্সিলরদের একাংশ তেমনই অভিযোগ করেছিলেন। তাই এই সমস্যা মেটাতে প্রথমে উদ্যান দফতরের সব ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ সরাসরি বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে স্থানীয় কাউন্সিলরেরা স্বার্থসিদ্ধিতে বরো অফিসকে প্রভাবিত করতে পারেন, এমন আশঙ্কা করে রাতারাতি এই মত পরিবর্তন বলে যুক্তি কেন্দ্রীয় পুর ভবনের।
আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, বরো স্তরে পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পুরো তুলে না দিয়ে স্থির হয়, কেন্দ্রীয় পুরভবন থেকেই প্রতিনিধিরা বরো অফিসে যাবেন। তাঁরাই কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। কোন এলাকার পার্কে কী অসুবিধা, কোন পরিকাঠামোর
উন্নয়ন প্রয়োজন, তা তাঁরা শুনবেন। তাঁদের তৈরি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় পুরভবনে জমা পড়লে সেই অনুযায়ী কাজ হবে। শনিবার তেমনই নির্দেশিকা জারি হয়। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘পুর এলাকায় প্রায় ৭০০টি পার্কের রক্ষণাবেক্ষণে কাউন্সিলরদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় পুরভবনের প্রতিনিধিরাই যোগাযোগ রাখবেন।’’