খোঁজ: গাছের প্রতীক্ষায়। গোলপার্কে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
অরুচি এসেছে। তা মেটাতে খোঁজ শুরু হয়েছে নতুন ওষুধের।
তবে স্বাদের নয়, দৃষ্টির একঘেয়েমি থেকে এসেছে এই অরুচি। এমনটাই বলছেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা। বিষয়টি কী? গত কয়েক বছরে পুরসভা শহরজুড়ে যে ডিভাইডারগুলি তৈরি করেছে, তার বেশির ভাগ অংশের সবুজায়নে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে চাইনিজ টগরকে। ছোট ছোট সাদা রঙের সেই ফুল দেখতে দেখতে নাকি শহরবাসীর একঘেয়েমি এসেছে, এমনটাই দাবি কলকাতা পুরসভার! তাই নতুন ডিভাইডারে বসানো হবে এ বার অন্য কোনও গাছ। কিন্তু সেটা কী, তা নিয়ে এখন চিন্তায় পুর কর্তারা।
পুরসভা সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে গোলপার্কের মোড়ে নতুন ডিভাইডার তৈরি হচ্ছে। সেটির নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু সেখানে কী গাছ বসানো হবে, আপাতত তা ভেবে পাচ্ছেন না পুর কর্তাদের একাংশ। এক পুর কর্তার কথায়, ‘‘শহরের সব ডিভাইডারগুলোতে চাইনিজ টগর দেখতে আর ভাল লাগছে না। চোখের আরাম খুঁজছি আমরা। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন পাতাবাহার গাছ বসানো হবে। তবে যাই বসানো হোক, সবুজায়নের কথা ভেবেই হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পের অধীনে ওই ডিভাইডার তৈরি করতে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য ওই ডিভাইডারের রক্ষণাবেক্ষণে মোট ২০ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছরে চার লক্ষ টাকা খরচ হবে। ওই খরচের মধ্যেই থাকবে গাছের সার কেনা, ডিভাইডার রং করা-সহ যাবতীয় খরচ।
অনেক সময়েই ডিভাইডার তৈরি করতে গিয়ে রাস্তার অংশ নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুরসভার বিরুদ্ধে। তার ফলে রাস্তার পরিসর ছোট হয়ে যায়, সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচলে সমস্যা হয়। সেই অভিযোগ যাতে এ বার আর না ওঠে, সে কারণে সতর্ক ছিল পুরসভা। তাই লোহার রেলিং যতটা জায়গা জুড়ে ছিল, ঠিক ততটা জায়গা নিয়েই ওই ডিভাইডার তৈরি হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে মাত্র দু’ফুট চওড়া হয়েছে সেটি। পরে যাতে সমস্যা না হয়, ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে এ নিয়ে একাধিক বার বৈঠক হয়েছে পুর আধিকারিকদের।