Atin Ghosh

মেডিক্যালে ডেঙ্গি মোকাবিলা দেখে অখুশি নন, তবু কেন মেজাজ হারালেন ডেপুটি মেয়র অতীন?

একটিমেডিক্যালে একটি তালাবন্ধ পার্কের কাছে পৌঁছতেই মেজাজ হারালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। চটলেন পুরসভারই ভেক্টর অফিসারের উপর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০৮
Share:

অতীন ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

বেরিয়েছিলেন ডেঙ্গি পরিস্থিতি পরিদর্শনে। ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডেঙ্গি মোকাবিলার হাল। পরিস্থিতি দেখে তিনি যে অখুশি, তা মোটেই প্রকাশ পাচ্ছিল না ডেপুটি মেয়রের চোখেমুখে। সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু একটি তালাবন্ধ পার্কের কাছে পৌঁছতেই মেজাজ হারালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। চটলেন পুরসভারই ভেক্টর অফিসারের উপর।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই দফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অতীন। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা ও জল জমে থাকতে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ডেপুটি মেয়র। এর পর শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটের ‘বর্ণপরিচয়’ বাজার ও মেডিক্যাল কলেজে যান তিনি। খতিয়ে দেখেন হাসপাতালের পরিস্থিতি। ঘুরতে ঘুরতে অতীন দেখেন, একটি তালাবন্ধ পার্কে পিডব্লুডি-র সরঞ্জাম রেখে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসার বৈশাখী বিশ্বাসের কাছে ডেপুটি মেয়র জানতে চান, কেন পার্কের তালা খোলা হয়নি। বৈশাখী জবাবে অতীনকে জানান, তিনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও খোলা হয়নি তালা। এই জবাব শোনার পরেই বেজায় চটে যেতে দেখা যায় অতীনকে। সকলের সামনেই বৈশাখীকে কড়া ভাষায় ধমক দেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর বক্তব্য, নোটিস পাঠিয়ে দায়সারা গোছের কাজ করছেন পুরআধিকারিকেরা। সামনাসামনি দেখা করে কেন তালা খোলার চেষ্টা করেননি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অতীন।

তবে মেডিক্যালের ডেঙ্গি মোকাবিলা ব্যবস্থা দেখে অখুশি নন ডেপুটি মেয়র। পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, ‘‘মেডিক্যালের পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভাল। তবে কিছু কিছু জায়গা, সব মিলিয়ে ছ’টা জায়গা আমরা চিহ্নিত করেছি। কর্তৃপক্ষ আর একটু সজাগ থাকলে সেটাও এড়ানো যেত। আমি কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি বিষয়টি। যেখানে যেখানে নোংরা, আবর্জনা আছে, দ্রুত সাফ করতে বলেছি। পুরসভার পক্ষ থেকেও সব রকম সাহায্য করা হবে।’’ তবে ডেপুটি মেয়রের মতে, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি নিজেদের কাজ ঠিক ভাবে করেন, তা হলে ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরকর্মীরা অন্যান্য জায়গাতেও যেতে পারবেন।’’ তবে কলেজ স্ট্রিটের ‘বর্ণপরিচয়’ বাজারের একাধিক অংশে জমা জল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অতীন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন