Vagabonds of Kolkata

কলকাতার ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করে আশ্রয়কেন্দ্রে পুনর্বাসনের তৎপরতা! বিজ্ঞপ্তি জারি পুরসভার কমিশনারের

কলকাতা শহরের খোলা জায়গা থেকে ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করে আশ্রয়কেন্দ্রে পুনর্বাসন করতে উদ্যোগী হল পুরসভা। কলকাতায় ভবঘুরদের জন্য আগে থেকেই বেশ কিছু আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতেই ভবঘুরেদের সরানোর ব্যবস্থা করতে চায় পুরসভা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৫ ১৫:০০
Share:

কলকাতায় রাস্তার ডিভাইডারে ভবঘুরেদের আস্তানা। —ফাইল চিত্র।

ভবঘুরেদের খোলা জায়গা থেকে উচ্ছেদ এবং পুর্নবাসনের জন্য পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করে তাদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে পুনর্বাসন করা হবে। এই মর্মে নোটিস জারি করেছেন কলকাতার পুর কমিশনার ধবল জৈন।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভবঘুরেদের উচ্ছেদ এবং পুনর্বাসনের জন্য সোমবারই পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে চিঠি পাঠান জৈন। চিঠিতে পুর কমিশনার জানান, ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করে নিকটবর্তী ‘শেল্টার ফর আর্বান হোমলেস’ (এসইউএইচ)-এ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বস্তুত, গৃহহীনদের মাথার উপর ছাদ দিতেই তৈরি হয়েছে সরকারি প্রকল্প এসইউএইচ। পুর কমিশনার আরও জানান, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এই দুর্বল মানুষদের সাহায্য করার জন্যই তাঁদের উচ্ছেদ করে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ধারে ফুটপাথে ভবঘুরেদের আস্তানা গড়ে তুলতে দেখা যায়। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই পথচারীদের ফুটপাথ দিয়ে যাতায়াতেও সমস্যা হয়। তা ছাড়া ফুটপাথে অপরিচ্ছন্ন ভাবে থাকার জন্য ভবঘুরেদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়েও বিবিধ উদ্বেগ তৈরি হয়। অথচ, কলকাতা শহরে আগে থেকেই এমন বেশ কিছু আশ্রয়কেন্দ্র আছে, যেখানে ভবঘুরেদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা রয়েছে। কলকাতার গৃহহীনেরা বা ভিক্ষুকেরা অনেকেই সেখানে রাতে আশ্রয়ও নেন। তবে সকলে এই সরকারি সুবিধা ব্যবহার করছিলেন না। অনুমান করা হচ্ছে সেই কারণেই নতুন করে নোটিসটি জারি করেছেন পুর কমিশনার।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশি অবৈধবাসী অভিযোগে গ্রেফতারির ঘটনাও ঘটেছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে পুর প্রশাসনের তরফে আরও সতর্কতার জন্য এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement