সংযুক্ত এলাকায় মিউটেশন সরল করার উদ্যোগ

কলকাতা পুরসভার অধীনেই সংযোজিত কলকাতার ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। তবুও ওই এলাকার ঘর-বাড়ি মিউটেশন করতে হলে এত দিন সংশ্লিষ্ট জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের ছাড়পত্র প্রয়োজন ছিল।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

ফিরহাদ হাকিম

কলকাতা পুরসভার অধীনেই সংযোজিত কলকাতার ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। তবুও ওই এলাকার ঘর-বাড়ি মিউটেশন করতে হলে এত দিন সংশ্লিষ্ট জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের ছাড়পত্র প্রয়োজন ছিল। এই নিয়ম চালু হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ। কিন্তু সেই ছাড়পত্র পেতে ওই অঞ্চলের নাগরিকদের এতই কাঠখড় পোড়াতে হত যে, গোটা বিষয়টি সরলীকরণের জন্য অজস্র চিঠি জমা পড়েছিল পুরকর্তাদের কাছে। এ বার সেই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হল পুর প্রশাসন।

Advertisement

সোমবার সংযোজিত এলাকার বরো চেয়ারম্যানদের নিয়ে এক বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। হাজির ছিলেন রাজ্যের ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের একাধিক কর্তা। পুরসভা সূত্রের খবর, বৈঠকে মূলত দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, ২০১৬ সালের মার্চের আগে যে সব ঘরবাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল পুরসভা, সেগুলিও নতুন নিয়মের গেরোয় আটকে ছিল। ঠিক হয়েছে, অবিলম্বে সেগুলির অনুমোদন ছেড়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, পুরসভার অধীনে কোনও জমিতে বাড়ি তৈরির কাজে ভূমি ও ভূমিসংস্কারের ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ আরও সরল করতে হবে। যাতে পুরসভা থেকেই ওই কাজ হতে পারে। অযথা জেলা প্রশাসন থেকে কলকাতা পুরসভায় শহরবাসীকে ছোটাছুটি না করতে হয়। বরো চেয়ারম্যানেরা সকলেই মেয়রের কাছে সেই দাবি নিয়ে দরবার করেছেন। ফিরহাদ নিজেও জানিয়ে দেন, মানুষকে সমস্য়া থেকে মুক্ত রাখাই সরকারের প্রধান কাজ। তাই পদ্ধতি সরলীকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ, মঙ্গলবার নবান্নে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের ভূমি ও ভূমিসংস্কারমন্ত্রী মনোজ পন্থ একটি বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে পুরসভার পদস্থ অফিসারেরাও হাজির থাকবেন।

পুরসভা সূত্রের খবর, পুর আইন অনুসারে বিল্ডিং নিয়মে বলা ছিল, পুরসভার অধীনে কোনও জমির চরিত্র বদল, মিউটেশন এবং বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদনে ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের হস্তক্ষেপ করার কোনও জায়গা নেই। সে ক্ষেত্রে যা করণীয়, তা পুর প্রশাসনই করবে। কিন্তু ২০১৬ সালের মার্চের শেষে রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কলকাতার সংযোজিত এলাকার (১০১-১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড) ক্ষেত্রে ওই দফতরের জেলা অফিসের অনুমোদন লাগবে। তার পর থেকেই মিউটেশন, জমির চরিত্র বদল-সহ বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদন করাতে হিমশিম খাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তার সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তির আগে যে সব অনুমোদন পুরসভা দিয়েছিল, সেগুলিও আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যেই অনুমোদন হয়ে থাকা বহু ফাইল জমে রয়েছে পুর ভবনে। ওই সবের অনুমোদন বাবদ ফি-এর টাকাও পাচ্ছে না পুরসভা।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়। তখনই প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চের আগে থাকা ফাইল ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে আজ ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকের পরেই এ ব্যাপারে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে

বলে সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন