মশার লার্ভা নিধন অভিযানে পুরকর্মীরা।- নিজস্ব চিত্র।
মশার লার্ভা নিধন অভিযানে গিয়ে প্রায়ই বাধার মুখে পড়েন পুরকর্মীরা। গালমন্দও কম শুনতে হয় না। বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে শেষ পর্যন্ত ফিরেও আসতে হয় তাঁদের। পরে দেখা যায় সেই বাড়িতেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার লার্ভা চাষ হয়েছে। কিন্তু, তখন আর কিছুই করার থাকে না।
এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এ বার কড়া হচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলেই মালিকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হবে। মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে।
শুধু তাই নয়, বাড়িতে তালা দেওয়া থাকলে স্থানীয় দুই বাসিন্দা এবং পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে ঢুকবেন পুরকর্মীরা। জমা জল, জঞ্জাল পরিষ্কার করে বাড়ির মালিকের হাতেই ধরিয়ে দেওয়া হবে খরচের রসিদ। এর পরেও কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে, তারও উপায় রয়েছে। সেই বাড়ির সম্পত্তি করের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে ওই খরচ।
আরও পড়ুন:মঞ্চের তলাতেও সিসি ক্যামেরা, কড়া নিরাপত্তায় ২১-এর সভা
আরও পড়ুন: ভুয়ো, উস্কানিমূলক পোস্ট এ বার নিজেই মুছে দেবে ফেসবুক
এ দিন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় আমরা সব সময়েই সতর্ক। আগে থেকেই সচেতনতা প্রচার চলেছে। এ বার অভিযানে বাধা পেলেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
এ বিষয়ে পুরসভার এক কর্তা জানান, শুধু সচেতনতা প্রচারে কাজ হচ্ছে না। কয়েক জনের জন্যই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কারও বাড়িতে ডেঙ্গি চাষ হলে, শুধু ওই বাড়ির লোকজনের ক্ষতি হবে না। ওই এলাকার বাসিন্দাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পুর আইন-এর ৪৯৬ ধারা কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা হবে। স্বাস্থ্য ও জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ এক সঙ্গে কাজ করবে। কোথাও জল বা জঞ্জাল জমে থাকলে প্রথমে নোটিস দেওয়া হবে। তাতেও কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্ষা থেকে শীত পর্যন্ত মশার বংশ বিস্তারের অনুকুল সময়। এই সময়ই ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি দেখা যায়।