জল শোধনে গাছ এবং ব্যাক্টিরিয়া 

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, নাজির খাল, মোক্তারপুর খাল, বাগ খাল, বাগের খাল, খড়দহ খাল এবং চড়িয়াল খালে ওই কাজের জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে গঙ্গা দূষণ রুখতে নিকাশি নালা অথবা খালের দূষিত জল পরিশোধন করে তা গঙ্গায় ফেলার কথা। ছোট নিকাশি নালার মুখে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হলেও বড় খালের মুখে জায়গার অভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। তার বিকল্প হিসেবে আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যাক্টিরিয়া (বায়ো রেমেডিয়েশন) অথবা উদ্ভিদের (প্ল্যান্ট রেমেডিয়েশন) মাধ্যমে নিকাশির নোংরা জল পরিশোধন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। আপাতত রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ শহর এবং শহরতলির যে আটটি খাল চিহ্নিত করেছে সেখানে এই প্রক্রিয়া চালু করা হবে।

Advertisement

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, নাজির খাল, মোক্তারপুর খাল, বাগ খাল, বাগের খাল, খড়দহ খাল এবং চড়িয়াল খালে ওই কাজের জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে। বালি এবং বৈদ্যবাটি খালের জন্যও দরপত্র চাওয়া হবে।

আধিকারিকেরা জানান, বিপুল পরিমাণের দূষিত জল পরিশোধনের প্রকল্প তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণ জমির প্রয়োজন। জমি পাওয়া যাচ্ছে না। এমন প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয়সাপেক্ষও বটে। তা ছাড়া বর্ষায় বৃষ্টির জল ওই সব খাল দিয়ে গঙ্গায় পড়ে। খালের মুখ আটকে লাইনের মাধ্যমে জল ট্রিটমেন্ট প্লান্টে নিয়ে আসাও সমস্যা। এ সব কারণেই নতুন পরিশোধন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

জলজ উদ্ভিদ এবং ব্যাক্টিরিয়া বিষয়ের গবেষক প্রসেনজিৎ দাঁ বলেন,‘‘বিশেষ কিছু ব্যাক্টিরিয়া জলের দূষণ কমাতে সাহায্য করে। কিছু উদ্ভিদও জলের দূষণ কমায়। ব্যাক্টিরিয়া মূলত জলের দূষণের উপাদান ভেঙে দেয়। উদ্ভিদ নোংরা জল শুষে নেয়।’’ গবেষকদের একাংশ জানান, কচুরিপানা ছাড়াও উইলো, পপলার, সূর্যমুখী এবং এক ধরনের বিশেষ প্রজাতির ঘাসও দ্রবীভূত দূষণের অংশ শুষে নেয়।

রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক জানান, সম্প্রতি কেএমডিএ-র সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আটটি খালেই দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবে কেএমডিএ। এ ছাড়া, গঙ্গার ধারের বিভিন্ন পুরসভা সংশ্লিষ্ট এলাকার নিকাশির দূষণের পরিশোধনের ব্যবস্থা নেবে বলেও পরিকল্পনা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন