সেতুর ক্ষতি রুখতে জল পরীক্ষা

কেএমডিএ সূত্রের খবর, কলকাতায় তিনটি উড়ালপুলের বেশ কয়েকটি করে স্তম্ভ খালের জলের মধ্যে রয়েছে। সেগুলি হল উল্টোডাঙা, কালীঘাট এবং চিংড়িহাটা উড়ালপুল।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০২:০২
Share:

—ফাইল চিত্র।

শহরে কেবলমাত্র সেতু বা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষাই নয়, যে সমস্ত সেতুর স্তম্ভ খালের মধ্যে রয়েছে, সেখানকার জল পরীক্ষারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শহরের উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে সেগুলির বর্তমান অবস্থা জানা যায়। প্রয়োজনে মেরামতিও করা হয়। ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দূষণের জেরে কোনও উড়ালপুল বা সেতুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা প্রতিরোধ করতেও সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে আপাতত কিছু উড়ালপুল বা সেতু ‘ফিট’ বলে ঘোষণা করলেও খালের মধ্যে থাকা স্তম্ভগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেএমডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, খালের অপরিষ্কার জলে অম্ল বা ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকলে জলের মধ্যে থাকা স্তম্ভের ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণেই শহর ও শহরতলিতে কোন কোন উড়ালপুল খালের উপরে রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, কলকাতায় তিনটি উড়ালপুলের বেশ কয়েকটি করে স্তম্ভ খালের জলের মধ্যে রয়েছে। সেগুলি হল উল্টোডাঙা, কালীঘাট এবং চিংড়িহাটা উড়ালপুল। বর্তমানে সেখানকার খালগুলির জলের অবস্থা কেমন, তার কোনও রিপোর্ট কেএমডিএ-র কাছে নেই। তাই ওই সব খালের জলের নমুনা আলাদা করে পরীক্ষা করা হবে। যে সংস্থাগুলিকে উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ভার দেওয়া হয়েছে, তারাই জলের নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে প্রয়োজনে পরিবেশ দফতরকে দিয়েও খালের জলের পরীক্ষা করাতে পারে রাজ্য সরকার।

Advertisement

রাজ্য পরিবেশ দফতর সূত্রের খবর, জলে অম্ল বা ক্ষার বেশি রয়েছে কি না, তা বোঝার জন্য জলের নমুনার পিএইচ মাত্রা (অম্ল বা ক্ষারের পরিমাণের সূচক) জানা জরুরি। সাধারণত জলে পিএইচ-এর পরিমাণ থাকে ৬.৫ থেকে ৮.৫। পিএইচ যদি এই পরিমাণের বেশি হয়, তা হলে জলে ক্ষারের মাত্রা বেশি রয়েছে বলে ধরা হয়। অন্য দিকে, ওই মাত্রা যদি ৬.৫-এর কম হয়, তা হলে বলা হয় জলে অম্লের পরিমাণ বেশি।

নোনা জলের ক্ষেত্রেও স্তম্ভের সঙ্গে ক্রমাগত ঘর্ষণে কংক্রিটের ক্ষতি হয়। তবে শহরে নোনা জলের ঘর্ষণে ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, কালীঘাট উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইতিমধ্যে হলেও সেটির কয়েকটি স্তম্ভ টালি নালার মধ্যে রয়েছে। সেখানের জলের অবস্থা কেমন, তা আলাদা করে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। অন্য দু’টি উড়ালপুলের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়েই সামগ্রিক ভাবে সব খতিয়ে দেখা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন