রবীন্দ্র সরোবর সাফাইয়ে নয়া যন্ত্র

গঙ্গা পরিষ্কার করতে যে ট্র্যাশ স্কিমার যন্ত্রের ব্যবহার হয়, এ বার রবীন্দ্র সরোবরের জল পরিষ্কার করতে সেই আধুনিক যন্ত্রই ব্যবহার করা হবে। জলে ভাসমান প্লাস্টিক ও অন্য আবর্জনা ছাড়াও কচুরিপানা ও ভাসমান উদ্ভিদ পরিষ্কার করতে ওই যন্ত্রের সাহায্য নেবেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০০:৪৭
Share:

ট্র্যাশ স্কিমার যন্ত্রের ব্যবহার করে রবীন্দ্র সরোবরের জল পরিষ্কার করা হবে।—ছবি সংগৃহীত।

গঙ্গা পরিষ্কার করতে যে ট্র্যাশ স্কিমার যন্ত্রের ব্যবহার হয়, এ বার রবীন্দ্র সরোবরের জল পরিষ্কার করতে সেই আধুনিক যন্ত্রই ব্যবহার করা হবে। জলে ভাসমান প্লাস্টিক ও অন্য আবর্জনা ছাড়াও কচুরিপানা ও ভাসমান উদ্ভিদ পরিষ্কার করতে ওই যন্ত্রের সাহায্য নেবেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কেএমডিএ-র চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘রবীন্দ্র পরিষ্কার করার জন্য ট্র্যাশ স্কিমার বলে নতুন যন্ত্র আনা হচ্ছে। তা দিয়েই সরোবরের জল পরিষ্কার করা হবে।’’

কেএমডিএ সূত্রের খবর, গঙ্গার জল পরিষ্কার করার জন্য দু’টি আধুনিক ট্র্যাশ স্কিমার যন্ত্র রয়েছে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের। নৌকোর সঙ্গে ছোট ক্রেনের মতো দেখতে এই যন্ত্রের নীচে ঝাঁঝরি থাকে। এই যন্ত্র দিয়ে আবর্জনা তুললে জলজ জীবের ক্ষতি হবে না বলে দাবি কেএমডিএ-র আধিকারিকদের। তাই সরোবরের জল পরিষ্কার করতে মাস দু’য়েকের মধ্যে সরকারের থেকে একটি যন্ত্র নেওয়া হবে।

Advertisement

কেএমডিএ সূত্রের খবর, আগে রবীন্দ্র সরোবরের জল সে ভাবে পরিষ্কার করা হত না। ফলে কয়েক বছর আগে হঠাৎ করে সরোবরে প্রচুর মাছ মারা যায়। জানা যায়, জলে বেশি পরিমাণে শ্যাওলা জমে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। তার পর থেকে নৌকা করে পুরনো পদ্ধতিতে সরোবরের আবর্জনা ও শ্যাওলা পরিষ্কার করা শুরু হয়। কিন্তু এ ভাবে জল পরিষ্কার করতে গেলে অনেক সময়েই গেঁড়ি, গুগলি-সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। সরোবরের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্টের আশঙ্কাও থাকে। গত বছর ছট পুজোর পরে এ ভাবে রবীন্দ্র সরোবরের জল পরিষ্কার করতে গিয়ে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন পরিবেশকর্মীর একাংশেরা। তাই এ বার রবীন্দ্র সরোবর পরিষ্কারে ট্র্যাশ স্কিমারের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

তবে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানাচ্ছেন, রবীন্দ্র সরোবরের জলের নীচেও প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা জমা রয়েছে। যা নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এ বার সেই আবর্জনা পরিষ্কার করারও দাবি করছেন সুভাষবাবু। যদিও কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই আবর্জনা কয়েক বছর আগে পরিষ্কার করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন