ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর মহাকরণ স্টেশনের জন্য গাছ না কেটে, তুলে অন্যত্র বসানো যেতে পারে বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। এ জন্য কোথায় জায়গা রয়েছে তা জানাতে মঙ্গলবার রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মেট্রোর বিকল্প রুটের জন্য বাড়তি অর্থ পেতে ঠিকাদার সংস্থা অ্যাফকন হাইকোর্টে আবেদন করেছে। এ দিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। আগের শুনানিতে বিচারপতি দত্ত কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেএমআরসিএল) কাছে প্রয়োজনের বেশি গাছ কাটার কারণ জানতে চান। কেএমআরসিএল-এর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সে দিন জানিয়ে ছিলেন, একটি গাছ কাটা হলে, বদলে পাঁচটি গাছ বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বিচারপতি দত্ত জানান, প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাছ কাটা হয়েছে বলে তিনি খবরের কাগজে প়ড়েছেন। প্রকল্পের বিকল্প রুটের জন্য বাড়তি টাকা বিদেশি সংস্থা বহন করবে কি না, তা-ও আদালতে জানানোরও নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার বিচারপতি দত্ত জানান, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে বনানী কক্কর হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে এ নিয়ে চিঠি দিয়েছেন। জবাবে বিকাশবাবু জানান, ওই এলাকায় ৯১টি গাছ রয়েছে। রাজ্যের বন দফতর প্রকল্পের স্বার্থে গাছ কাটার অনুমতিও দিয়েছে। কিন্তু এখনও ১০টির বেশি গাছ কাটা হয়নি। আর বিদেশি সংস্থাটিই বিকল্প রুটের বাড়তি খরচ বহন করবে।
তখন বিচারপতি দত্ত জানান, তিনি মনে করেন, গাছ না কেটে তুলে অন্যত্র বসিয়ে দেওয়া যায়। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে ওই সব গাছ কোথায় বসানো যেতে পারে, শুক্রবারের শুনানির দিন তা আদালতে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি দত্ত। পাশাপাশি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন, বনানীদেবীর কাছে মামলার নোটিস পাঠানোর। যাতে তিনি এ নিয়ে কোনও প্রস্তাব দিতে পারেন।