নিউ মার্কেট চত্বরের পুড়ে যাওয়া দোকান ‘সিটি মার্ট’ মেরামতির জন্য স্পেশ্যাল অফিসার ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিটি মার্ট কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতেই বুধবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। তবে একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, মেরামতি ও পুনর্নির্মাণ করতে হবে আইন মেনে।
গত ২৬ এপ্রিল পুড়ে যায় সিটি মার্ট। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোকানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার জন্য নিউ মার্কেট থানায় এফআইআর করে দমকল। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানও জানিয়েছিলেন, অনিয়ম থাকলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ অবশ্য অনিয়ম বা গাফিলতির কারণে এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশের বক্তব্য, গাফিলতির প্রমাণ মিললে তবেই ব্যবস্থা হবে।
পুড়ে যাওয়া সিটি মার্টের মেরামতি ও পুনর্নিমাণ চেয়ে চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়, নিউ মার্কেট থানার পুলিশ মেরামতির কাজে বাধা দিচ্ছে। বুধবার শুনানির সময়েও সেই অভিযোগ তোলেন সিটি মার্টের আইনজীবী। কিন্তু সরকারি আইনজীবী জানান, পুলিশ ওই কাজে বাধা দেয়নি। বাধা দেওয়ার এক্তিয়ারও পুলিশের নেই। অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আদালতে পুর-কর্তৃপক্ষের তরফে আইনজীবী অলোক ঘোষ এ দিন অভিযোগ করেন, ওই দোকান মেরামতি বা পুনর্নিমাণের জন্য কোনও আবেদন কলকাতা পুরসভার কাছে করা হয়নি। তিনি এও জানান, পুর-কর্তৃপক্ষের অনুমতি এ ক্ষেত্রে আবশ্যক।
সিটি মার্টের আইনজীবী আদালতে জানান, পুড়ে যাওয়া বাড়িটির মেরামতির প্রয়োজন। সেই কাজে কর্তৃপক্ষ নিজেও কোনও দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করতে পারেন। অথবা আদালত কাউকে নিযুক্ত করতে পারে। মেরামতি ও পুনর্নিমাণ সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না, দেখতে স্পেশ্যাল অফিসারও নিযুক্ত করতে পারে আদালত। এর ভিত্তিতেই হাইকোর্ট স্পেশ্যাল অফিসার ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগে সম্মতি দিয়েছে বলে মনে করছেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ।
তবে মেরামতি ও পুনর্নিমাণের জন্য এখনই স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে কি না, আদালতে সেই প্রশ্ন তোলেন অলোকবাবু। হাইকোর্টের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুর-কর্তৃপক্ষ পাল্টা মামলা করবেন বলে সূত্রের খবর।