Kolkata International Book Fair 2024

মাস পয়লার আগেই বইমেলা ভাঙার শোক

গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলছেন, ‘‘এ বার বইমেলায় অন্য বারের থেকে অনেক বেশি লোক ঢুকলেও সেই অনুপাতে কেনাকাটা কম হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৮
Share:

বইপ্রেমী: বইমেলার শেষ দিনে উপচে পড়া ভিড় একটি স্টলে। বুধবার, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

বই পড়ে পড়ে সুগার বাধিয়েছেন বছর ছয়েক আগে। বই কেনার টাকা বাঁচাতে এখন সস্ত্রীক আমিষ খাওয়া ছেড়েছেন দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়। বুধবার বইমেলার শেষ দিনে এমন খাঁটি বইপ্রেমীকে কুর্নিশ জানান আয়োজকেরা। চাকদহে ইংরেজির শিক্ষক দেবব্রত ওরফে ‘ডিসি স্যর’ বইমেলার শেষ বিকেলেও বই কিনে কিনে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার রসদ জড়ো করলেন।

Advertisement

এমন বইপ্রেমী আছে বলেই বইমেলা আছে! বার বার বলছিলেন প্রকাশক এবং বই বিক্রেতা গিল্ডের কর্তারা। তবে গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলছেন, ‘‘এ বার বইমেলায় অন্য বারের থেকে অনেক বেশি লোক ঢুকলেও সেই অনুপাতে কেনাকাটা কম
হয়েছে।’’ বাস্তবিক, বইমেলায় এ দিনও চোখে পড়েছে, জনতার মধ্যে বইয়ের ব্যাগধারী বেশ কম। তবু সুধাংশুর দাবি, গত বারের ২৬ কোটি টাকার বিক্রিকে নিশ্চিত ভাবেই পিছনে ফেলেছে ২০২৪-এর বইমেলা। কিন্তু লোক ঢুকেছে ২৯ লক্ষ (২০২৩ সালে ছিল ২৫ লক্ষ)। গিল্ড কর্তাদের মতে, বইমেলা এগিয়ে আসায় অনেক চাকরিজীবীই পয়লা ফেব্রুয়ারি মাসের মাইনে পকেটে ঢোকার সুবিধা পেলেন না। ফলে অনেকেরই টান পড়েছে বই-বাজেটে। পরের বার এটা খেয়াল রাখতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন