কেবল পড়শি কয়েকটি দেশ থেকে আসা মানুষদের মধ্যে আটকে না থেকে ‘মেডিক্যাল ট্যুরিজম’-এ ডানা মেলতে চায় কলকাতা।
নাইজিরিয়া, উগান্ডা, কেনিয়া কিংবা ইরাক-ইরান থেকে বিপুল সংখ্যক রোগী চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো শহরে চিকিৎসা করাতে আসছেন। কলকাতায় আসা মেডিক্যাল ট্যুরিস্টেরা মূলত বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, বড়জোর মায়ানমারের মানুষজন।
অথচ কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বেড়েছে, পুরনো হাসপাতালে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধে মিলছে এবং সরকারি হাসপাতালগুলি অন্তত বহিরঙ্গে ঝাঁ চকচকে হয়েছে। ই এম বাইপাস লাগোয়া বহু তল্লাটে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছাকাছি বিভিন্ন মানের বহু হোটেল, গেস্ট হাউস আছে। তার পরেও মেডিক্যাল ট্যুরিস্টদের ক্ষেত্রে কলকাতা শুধু পড়শি তিন-চারটি দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকায় সন্তুষ্ট নন বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিচালকেরা।
কলকাতার মেডিক্যাল ট্যুরিজম বা চিকিৎসা পর্যটনের প্রসারে শুক্রবার বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করে। সেখানে রূপক বড়ুয়া, রূপালি বসুর মতো বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালকেরা এ ক্ষেত্রে অবিলম্বে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তাঁরা জানান, এ ক্ষেত্রে তথ্যের অভাব একটি বড় সমস্যা।
পরে এই ব্যাপারে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এর প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রাজ্য সরকার তৈরি করে দেবে। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ওয়েবসাইট বানিয়ে আমরা জানাব, কলকাতায় এলে এ ক্ষেত্রে কী সুবিধে পাওয়া যাবে। তবে কোথায় কোন চিকিৎসা কী ভাবে হয়, কী সুবিধে পাওয়া যায়, সেটা হাসপাতালগুলিকেই জানাতে হবে।’’ পর্যটনমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কলকাতায় মেডিক্যাল ট্যুরিজম-এর প্রসারের জন্য ওয়েবসাইটটি আমাদের দফতর ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি যৌথ ভাবে করতে পারি।’’ ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স-এর ডেপুটি ডিরেক্টর সুস্মিতা দাস (বিশ্বাস) বলেন, ‘‘অন্যান্য দেশের বণিকসভার সঙ্গে বৈঠকে কলকাতার মেডিক্যাল ট্যুরিজম নিয়ে আমরা প্রচার করব।’’