mrinal sen

শতবর্ষের পদাতিক শিল্পী

কুণালও তাঁর বাবাকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন, বন্ধু (প্রকাশক: সিগাল)। এখন শহরে তিনি, বললেন, “বাবা শেষ জীবনে বিমল করের ভুবনেশ্বরী উপন্যাস থেকে ছবি করার কথা ভেবেছিল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ০৭:৫১
Share:

বিতে বার্লিনে মার্ক্স-এঙ্গেলসের মূর্তির পাশে মৃণাল সেন, ধরে আছেন এঙ্গেলসের হাত। ছবি সৌজন্য: কুণাল সেন Sourced by the ABP

মৃণাল সেন তখন আত্মকথন লিখছেন, ফিরে দেখছেন যেন সিনেমা নিয়ে ঘর-করা জীবন। শিকাগোনিবাসী পুত্র কুণাল এক দিন বাবাকে বললেন, স্মৃতিকে কখনও চোখ বুজে বিশ্বাস কোরো না, স্মৃতি আসলে ‘রিকনস্ট্রাকশন রাদার দ্যান বিয়িং ফোটোগ্রাফিক’। এক সময়ে বেরোল সেই স্মৃতিকথন তৃতীয় ভুবন (আনন্দ) নামে, ভূমিকায় লিখলেন, “আত্মজীবনী লিখতে ভরসা পাই না... আত্মশ্লাঘার স্পর্শসুখ পাওয়ার চেষ্টা আদৌ করছি না।” আগামী কাল তাঁর জন্মদিনে, শতবর্ষ (জন্ম ১৪ মে, ১৯২৩) পূর্তির আবহে এ বইটি জরুরি তাঁকে জানার জন্য, যেখানে মানুষটি নিজের শিল্পকর্ম সম্পর্কে অমিত আত্মবিশ্বাসে বলেন: “যা করেছি, যা করে চলেছি, ঠিক বা বেঠিক, পরোয়া করিনি কখনও... সিনেমার শেষ কোথায়, আছে কি নেই, কে বলবে?"

Advertisement

কুণালও তাঁর বাবাকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন, বন্ধু (প্রকাশক: সিগাল)। এখন শহরে তিনি, বললেন, “বাবা শেষ জীবনে বিমল করের ভুবনেশ্বরী উপন্যাস থেকে ছবি করার কথা ভেবেছিল। এক অভিজাত পরিবারের সবাই জড়ো হয়েছেন তাঁদের মায়ের স্মৃতিচারণ করতে, তাঁর মহিমার কথা বলতে। কিন্তু বলতে গিয়ে ক্রমশ মিথটা ভাঙতে শুরু করে... বাবা আজ বেঁচে থাকলে এই শতবার্ষিকীর আলোচনায় হয়তো মিথ ভাঙার কথাই বলতেন। বাবার একটা গুণ ছিল সব চিন্তাকে নতুন করে যাচাই করার। পুজো পছন্দ করতেন না।”

মৃণাল সেনকে জানতে-বুঝতে সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা সিনে সেন্ট্রালের জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধার্ঘ্য: মৃণাল সেন। এতে আছে তাঁর দুর্লভ কিছু সাক্ষাৎকার, প্রবন্ধ, সঙ্গে ইন্টারভিউ ছবির চিত্রনাট্যও। সঙ্কলনে পরিচালক গৌতম ঘোষের এক প্রশ্নের জবাবে মৃণালবাবু বলেন, “ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের ক্রিটিক্যাল হওয়া দরকার।”

Advertisement

শহর জুড়ে মৃণাল সেনের শতবর্ষ পালন— ‘মৃণাল সেন বার্থ সেন্টিনারি সেলিব্রেশন কমিটি’র উদ্যোগে সরলা রায় মেমোরিয়াল হলে ১৪ মে সন্ধ্যা ৬টায় থাকবেন তানভীর মোকাম্মেল অঞ্জন দত্ত মমতাশঙ্কর প্রমুখ, মৃণালবাবুকে নিয়ে সেমিনার, তথ্যচিত্র, দেবজ্যোতি মিশ্রের সঙ্গীতায়োজন। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস’ অ্যাসোসিয়েশন ও সিনে সেন্ট্রালের উদ্যোগে কাল নন্দন-৩’এ বিকেল সাড়ে ৪টেয় দেখানো হবে চালচিত্র, অঞ্জন দত্তের সঙ্গে কথায় রঞ্জিত মল্লিক অশোক বিশ্বনাথন শেখর দাশ কুণাল সেন। গোর্কি সদনে ১৫-২২ মে বিশিষ্টজনের বক্তৃতা, সঞ্জয় ভট্টাচার্যের তথ্যচিত্র, প্রতাপ দাশগুপ্তের স্থিরচিত্র প্রদর্শনী। মৃণাল সেনের একটি করে ছবি দেখানো হবে রোজ। উদ্বোধনে মাধবী মুখোপাধ্যায়, আয়োজনে রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র, আইজ়েনস্টাইন সিনে ক্লাব, নর্থ ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি, সিনে সেন্ট্রাল, তপন সিংহ ফাউন্ডেশন। উত্তরপাড়া সিনে ক্লাবের উদ্যোগে সেখানকার নেতাজি ভবনে রবিবার বিকেল ৫টায় দেখানো হবে পদাতিক, থাকবেন মৈনাক বিশ্বাস ও তপন দাস, কুণাল সেনের ভিডিয়ো-ভাষণ। ছ

দিগ্‌দর্শক

দর্শনচর্চায় আন্তর্জাতিক স্তরে সুবিদিত তাঁর নাম। দার্শনিক অধ্যাপক জিতেন্দ্রনাথ মোহান্তির (ছবি) দর্শনের পাঠ প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, গবেষণা পঞ্চাশের দশকে জার্মানির গ্যোটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংস্কৃত কলেজ, বর্ধমান ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক জিতেন্দ্রনাথ মোহান্তি দার্শনিক এডমুন্ড হুসার্ল-এর সেরা ব্যাখ্যাতা হিসেবে বিবেচিত, কান্ট, হাইডেগার চর্চায় দিকপাল। তাঁর দর্শন-ভাবনা ও অবদান বিষয়ে লেখা বিবিধ প্রবন্ধে সেজে ওঠা একটি বই সম্পাদনা করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তী। জিতেন্দ্রনাথ মোহান্তি: এক দার্শনিক পরিব্রাজক (প্রকা: আলোচনা চক্র) নামের এই বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল গতকাল ১২ মে, প্রেসিডেন্সির এ কে বসাক প্রেক্ষাগৃহে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মঞ্চ ‘ভাবুক সভা’ ও প্রকাশক আলোচনা চক্রের উদ্যোগে। ছিল বিশিষ্টজনের আলোচনাও।

পরিবেশ-ভাবনা

৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস এগিয়ে আসছে। এপ্রিলে দগ্ধ কলকাতা মে মাসেও প্রবল অস্বস্তিতে, মানুষ বিলক্ষণ বুঝছে পরিবেশের উপর জুলুম চালানোর ফল। সরকার ও নাগরিক উভয়েরই এগিয়ে আসা যেমন প্রয়োজন, তেমনই দরকার নানা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাধ্যমতো পদক্ষেপ। সেই ভাবনা থেকেই কলকাতার ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশন, ইন্দো-ব্রিটিশ স্কলারস’ অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএসএ) ও আর্থ ডে নেটওয়ার্ক একত্রে উদ্যোগ করেছে একটি সর্বভারতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার। ‘প্লাস্টিক দূষণ’, ‘প্রাণী ও বাসস্থান এবং ‘পাল্টে যাওয়া পৃথিবী’, এই তিনটি বিষয়ে তোলা ছবি পাঠাতে পারেন আগ্রহী যে কেউ, ১৫ মে-র মধ্যে। বিশদ তথ্য আইবিএসএ-র ওয়েবসাইটে।

চলে যাওয়া

তাঁর লেখা ‘ভিলানেল’ কবিতার একটি স্তবক: “তোমার দুচোখে পেলাম বজ্রসাজ/ মৃত্যু আমার শিয়রে সে আমি জানি/ ছাড়ব না আমি আমার কঠিন কাজ।” গত ২৮ এপ্রিল প্রয়াত হলেন জিষ্ণু দে। স্বনামধন্য কবি বিষ্ণু দে তাঁর বাবা। পেশায় পদার্থবিজ্ঞানী, ২০০৩ সালে অবসর নেন মৌলানা আজাদ কলেজ থেকে, ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান। এই কলেজ থেকেই ১৯৬৯ সালে অবসর নিয়েছিলেন বিষ্ণু দে-ও। পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করেছেন, পৃথিবীর নানা জায়গায় ঘুরেছেন, নানা দেশের অভিজ্ঞতার আনন্দ লিখেছেন কবিতায়। ভালবাসতেন গান, সদা হাস্যময়, আড়ম্বরহীন মানুষটি আশি বছর পূর্ণ করেছিলেন গত ফেব্রুয়ারিতে (জন্ম ১৯৪৩)। গত ৬ মে সন্ধ্যায় তাঁর স্মৃতিতে একত্র হয়েছিলেন প্রিয়জনেরা: গানে, কথায়, কবিতায়।

মুখেরা

২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে শিল্পী রবীন মণ্ডলের জীবদ্দশায় তাঁর শেষ চিত্রপ্রদর্শনী হয়েছিল দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাসে। সে বছর জুনে প্রয়াত হন শিল্পী। প্রয়াণোত্তর তাঁর অদেখা কাজের প্রদর্শনী এ বার, ১১ মে থেকে আবাসের প্রদর্শনীকক্ষে শুরু হয়েছে নতুন চিত্রপ্রদর্শনী ‘ফেসেস’। আশির দশকের শেষ থেকে জীবনের অন্তিম পর্যায়ের মধ্যে আঁকা মোট তেইশটি ছবি, রয়েছে কালি-কলমে একটি আত্মপ্রতিকৃতিও। শিল্পীর চিত্রভুবনের বিস্তৃত পরিসর জুড়ে আছে মুখেরা, যেন আদিম সময় থেকে উঠে আসা। শিল্পী লিখেছেন, “একটা বিষয়ে আমি সচেতন, আমার কাজ নয়নসুখকর নয়।” প্রকৃত রসিকের চেতনায় তাঁর কাজ যে নান্দনিক সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেয়, বলার অপেক্ষা রাখে না তা। আরও প্রাপ্তি, ১৯৯২-এ দেশ পত্রিকার সাহিত্য সংখ্যায় প্রকাশিত তাঁর রচনা ‘আমার কথা’ দেবভাষা থেকে প্রকাশ পেল গ্রন্থাকারে। প্রদর্শনী ২২ মে পর্যন্ত, রোজ ২টো-৮টা, রবিবার বাদে।

ফিরে দেখা

সুকুমারী দত্ত ১৮৮২ সালে লিখেছিলেন নাটক অপূর্বসতী। তার পর পেরিয়েছে অনেকটা সময়, নারীর সামাজিক অবস্থান পাল্টেছে কি? সাধারণ রঙ্গালয়ের সার্ধশতবর্ষ পূর্তিতে বাংলার প্রথম মহিলা নাটককারকে শ্রদ্ধা জানাতে, এই সময়ে দাঁড়িয়ে উনিশ শতকের সেই নাটককে ফিরে দেখতে ‘উষ্ণিক’ নাট্যগোষ্ঠী বেছে নিয়েছে নাচ-গান-প্রেম-বিরহের এই নাটকটিকে, তাদের সাম্প্রতিক প্রযোজনায়। পরিচালনা ঈশিতা মুখোপাধ্যায়ের, অভিনয়ে ছন্দা চট্টোপাধ্যায় শুভাশিস মুখোপাধ্যায় শর্মিলা মৈত্র। অপেরা ধাঁচে বাঁধা এই নাটকটি অভিনীত হবে আগামী কাল ১৪ মে উষ্ণিক-এর জন্মদিনে— অ্যাকাডেমি মঞ্চে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

সিন্দুকে

শুটিংয়ে ব্যস্ত সত্যজিৎ রায়।

নামটি বেশ, ‘সৌম্যেন্দু সিন্দুক’। কী ব্যাপার? সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহ, তরুণ মজুমদার, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত প্রমুখের সিনেমায় ক্যামেরা কথা বলেছিল যাঁর হাতে, সেই আলোকচিত্রশিল্পী সৌম্যেন্দু রায়কে নিয়ে সংগ্রহশালা তৈরি হয়েছে জীবনস্মৃতি আর্কাইভের একটি ঘর জুড়ে, অরিন্দম সাহা সরদারের ভাবনা ও পরিকল্পনায়। গত ৮ মে আর্কাইভের জন্মদিনে শুভ সূচনা হল এই সিন্দুকের: রয়েছে সৌম্যেন্দু রায়ের কাজ করা ছবির চিত্রনাট্য, কাহিনিচিত্র-তথ্যচিত্র- টিভি-ছবির ডিজিটাল কপি, পোস্টার, পুস্তিকা, শুটিং-স্থিরচিত্রের ডিজিটাল প্রতিলিপি, শুটিং-এর নোটবুক, সংবাদপত্র-কর্তিকা, আরও অনেক কিছু। দেখা যাবে ২০০৭-১৩ সময়কালে সৌম্যেন্দু রায়ের অডিয়ো-ভিডিয়ো সাক্ষাৎকার, আলোকচিত্র প্রশিক্ষণের অডিয়ো-ভিডিয়োও। ছবিতে তিন কন্যা-র শুটিংয়ে সত্যজিৎ ও সৌম্যেন্দু রায়।

টুকরো ইতিহাস

পুরনো খবরের কাগজ বা তার আর্কাইভ শুধুই কি সংবাদেরই মহামূল্যবান ভাণ্ডার? কতশত বিজ্ঞাপনেরও আকর তারা। তার অনেকগুলিই, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সমেত মুছে গেছে আজ, কালের নিয়মে। হয়তো সেই পণ্যগুলিও সময় ও চাহিদা বদলের সঙ্গে রূপ পাল্টেছে, কিংবা স্রেফ নেই হয়ে গিয়েছে। পুরনো সংবাদপত্রের পাতায় তবু রয়ে যায় সেই সব ছবি আর কথা, রঙে অক্ষরে ফেলে আসা যুগের কথা বলে যায়। মনে রাখা দরকার, এই সব বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতেন সেই সময়ের নামী ও জনপ্রিয় শিল্পীরা, সেই নিরিখেও এই সব বিজ্ঞাপনচিত্রের গুরুত্ব কম নয়। সে কালের কলকাতার পুরনো বিজ্ঞাপনচিত্রের বিপুল সম্ভার থেকে বাছাই কয়েকটি নিয়ে সুস্মৃতি প্রকাশনী বার করেছে নতুন বাংলা বছরের অভিনব টেবিল ক্যালেন্ডার ‘রাঙা মাথায় চিরুনি’। স্নো, সাবান, নখরঞ্জনী, সিঁদুর, রুজ, কেশ তেল, পাউডার, সুগন্ধির বিজ্ঞাপনচিত্র— আনন্দবাজার পত্রিকা (ছবি), সচিত্র ভারত, প্রবাসী, দীপালী, ভারতবর্ষ, বসুমতী ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত। বাংলা রঙিন বিজ্ঞাপনের এক টুকরো ইতিহাস— নজরকাড়া, সংগ্রহযোগ্য।

উনিশে মে

বরাক উপত্যকার বাঙালিদের উপরে অসমিয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে, বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্য আন্দোলনে ১৯৬১-র ১৯ মে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন এগারো জন। এই ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের স্মরণে ‘সর্বভারতীয় বাংলা ভাষা মঞ্চ’-এর উদ্যোগে আগামী ১৯ মে দুপুর ১টায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ হল-এ আয়োজিত হয়েছে আলোচনাসভা। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা, রাজ্যের প্রশাসনিক কাজ বাংলায় করা, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়–সহ রাজ্যের সব স্কুলে প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে বাংলা আবশ্যক করা ইত্যাদির দাবিসনদ পেশ করা হবে। রয়েছে কবি সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিকেল ৪টেয় ভাষা-পদযাত্রা। বাংলা চলচ্চিত্র-নাটক-সঙ্গীতে নতুন জোয়ার আনতে ভাষাপ্রেমী সকলকে আহ্বান জানাচ্ছেন ওঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন