মেট্রো কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিলেন, টালিগঞ্জে ইয়ার্ড পুনর্গঠনের কাজের জন্য সোমবার থেকে তিন দিন মেট্রোর সংখ্যা কমবে। তবে সকাল এবং সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে সেই সংখ্যা মোটামুটি এক থাকবে। সেই মতো সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন ৩০০ থেকে কমে ২৮৪টি ট্রেন চললেও মেট্রো কর্তৃপক্ষ দাবি করলেন, তেমন বড় সমস্যার মুখে তাঁদের পড়তে হয়নি।
যাত্রীদের অভিজ্ঞতা অবশ্য মিশ্র। অনেকেরই বক্তব্য, সকাল সাড়ে ১০টার পরে দমদম ও কবি সুভাষের দিক থেকে মেট্রো পেতে গিয়ে তাঁদের কিছুটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফলত ১২টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বেশ কিছু ট্রেনে চোখে পড়েছে ঠাসাঠাসি ভিড়। আবার, বেলা ১২টার পরে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও অনেকে নির্দিষ্ট সময়েই মেট্রো পেয়েছেন।
মেট্রোর এক আধিকারিক জানান, দু’দিকের প্রান্তিক স্টেশনে মজুত ট্রেনের সংখ্যা এবং যাত্রীদের ভিড় দেখেই ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
সাধারণত দেখা গিয়েছে, সকালে পরিষেবা শুরুর পরে সাড়ে ৭টা থেকে স্টেশনে ভিড় বাড়তে থাকে।
সেই মতো ৮টার পর থেকেই যাতে পাঁচ মিনিট ব্যবধানে ট্রেন চালানো যায়, সে দিকেই মূলত লক্ষ রাখা হয়েছিল।
যদিও প্রথম দিনে ট্রেন কমানোর প্রভাব যাত্রী-সংখ্যার উপরে কতটা পড়েছে, তা জানাতে পারেননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘নানা কারণে যাত্রী সংখ্যার ওঠা-নামা চলতে থাকে। তাই প্রথম দিন দেখেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।’’
মেট্রোর মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথম দিনে মেট্রোর যাতায়াতে বিরূপ প্রভাব চোখে পড়েনি। তবে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।’’
বছর তিনেক আগেও দিনে ২৭৮টি ট্রেন চালিয়ে অনায়াসে যাত্রী সংখ্যার চাপ সামাল দিতে পারা যেত। কিন্তু যাত্রী সংখ্যা কয়েক লক্ষ বেড়ে যাওয়ায় এ বার কর্তৃপক্ষ আগের মত নিশ্চিন্ত নন।