নতুন: উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোপথে ছুটবে এই রেক। নিজস্ব চিত্র।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ধাঁচের আধুনিক প্রযুক্তির রেক এ বার চলবে শহরের অন্য মেট্রোতেও। আধুনিক প্রযুক্তির এই নমুনা রেক ইতিমধ্যেই নোয়াপাড়ায় এসে পৌঁছেছে। সব ঠিক থাকলে আজ, শুক্রবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকেই নতুন রেক ছুটতে শুরু করবে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ধাঁচে এই রেকে আধুনিক ‘কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম’ (সিবিটিসি) রয়েছে। এই প্রযুক্তিতে প্রতি মুহূর্তে চলন্ত ট্রেনের প্রকৃত অবস্থান জানা যায়। সেই অনুযায়ী অন্যান্য ট্রেনগুলির গতি নির্ধারিত হয়। এ জন্য ট্রেনের সামনে নির্দিষ্ট অ্যান্টেনা ছাড়াও লাইনে দু’-এক ফুট অন্তর বিশেষ যন্ত্র বসানো থাকে। সেই যন্ত্রই প্রতি মুহূর্তে ট্রেনের অবস্থান জানায়।
সামগ্রিক ভাবে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর একাংশে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন পেলেও তার কাজ এখনও সে ভাবে এগোয়নি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার
করে দু’-তিন মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন চালানো সম্ভব। ভবিষ্যতে জোকা-বি বা দী বাগ, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া-বারাসত এবং প্রস্তাবিত ব্যারাকপুর মেট্রোয় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রেন চালানো হবে। শহরের নির্মীয়মাণ মেট্রোপথগুলিতে রেকের চাহিদা মেটাতে এমন ৩৮টির বরাত দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে থ্রি-ফেজ় এসি রেকগুলি তৈরি হবে।
এখন যে পুরনো বাতানুকূল রেকগুলি চলে, সবই চলে ৭৫০ ভোল্ট ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্টে। তবে, ‘মেধা’ সিরিজের সব ক’টি রেক থ্রি-ফেজ় এসি প্রযুক্তির। ওই সব রেকে বিদ্যুৎ খরচও তুলনামূলক ভাবে কম। আপাতত, আজ থেকে চালু হতে যাওয়া প্রোটোটাইপ বা নমুনা রেকটির ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং সমস্যা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় রদবদল হবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর, জোকা-বি বা দী বাগ এবং নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো পথের একাংশ চালু হয়ে গেলে সেখানেও আধুনিক রেক চালিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। মেট্রো সূত্রের খবর, শহরের ভবিষ্যৎ মেট্রো পথগুলিতে অল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালানোর কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।