সংযোজিত এলাকার পরিষেবা নিয়ে নানা সমস্যা তো আছেই। এ বার ওই এলাকার মল-মূত্র সামলাতেও বিপাকে কলকাতা পুরসভা! পুর কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাস কলকাতায় শৌচাগার নিকাশি নালার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। কিন্তু দক্ষিণ শহরতলি এবং উত্তর কলকাতার কিছু এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্ক আছে। অথচ, সেই বর্জ্য কী ভাবে দূষণ এড়িয়ে নষ্ট করা হবে তার পরিকাঠামো নেই। সেপটিক ট্যাঙ্কের বর্জ্য সামলানো নিয়ে এক বছর আগে রিপোর্ট চেয়েছিল নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। তাতেও কার্যত অব্যবস্থার কথাই জানানো হয়েছিল।
খাস কলকাতায় শৌচাগারের বর্জ্য নিকাশি নালার মাধ্যমে পরিশোধন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সংগৃহীত বর্জ্য সে ভাবে সংশোধন করা হয় না। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মল নিয়ে কন্টেনারে চাপিয়ে সরাসরি ধাপায় ফেলি।’’ পরিবেশবিদদের অভিযোগ, এ ভাবে মল-মূত্র ফেলায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ‘‘দূষণ হচ্ছে জানি। কিন্তু তড়িঘড়ি সুরাহার পথও জানা নেই’’— মেনে নিচ্ছেন কলকাতার এক পুরকর্তা।
শহরতলি এলাকায় যে ভাবে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পরিবেশবিদদের। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এস চন্দ্রশেখরের কথায়, ‘‘সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। কিন্তু এ দেশে তা মানা হয় না।’’ তাঁর মতে, সেপটিক ট্যাঙ্ক নিয়ম মেনে তৈরি না হলে বর্জ্য চুঁইয়ে ভূগর্ভের জলে মিশতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে কী ভাবছে কলকাতা পুরসভা? মেয়র পারিষদ দেবব্রতবাবু বল ঠেলে দিচ্ছেন কেন্দ্রের কোর্টেই। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের নির্দেশেই যা করার করা হবে।’’ প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্র না বললে কি পরিবেশ নিয়ে টনক নড়বে না? দেবব্রতবাবুর জবাব, এ ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি এবং খরচের হিসেব তাঁদের জানা নেই। তাই কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষা করা হচ্ছে।