কুড়ি বছর পরে সংস্কার কলেজে

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, পাকাপাকি ভাবে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, নীচের তলায় আর কোনও অফিস রাখা হবে না।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১২
Share:

ক্ষয়িষ্ণু: এ ভাবেই ফাটল ধরেছে দেওয়ালে। বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে। ছবি: সুদীপ ঘোষ

মেঝে ঢেউ খেলানো। দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। সিলিংয়ের সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে স্তম্ভের ফাঁকও। আর ঠিক তার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাত তলা ভবন। ঝুঁকি নিয়ে প্রতি দিন সেখানে যান পড়ুয়া, গবেষক, শিক্ষক থেকে কর্মীরা। এই অবস্থা বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের। যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, ওই অংশের সংস্কার করা হবে।

Advertisement

বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ ভবনটি আট তলার। উপরের অন্য অংশে কোনও ফাটল না থাকলেও একেবারে নীচের তলার অবস্থা বেশ খারাপ বলে মানছেন কর্মীরাই। কলেজে ঢোকার মুখেই মেঝে অনেকটা বসে গিয়েছে। সেই টানে বেঁকে গিয়েছে স্তম্ভগুলিও। কিন্তু কেন এমন অবস্থা? বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, সম্ভবত কোনও বড় জলাশয় ভরাট করে এই ক্যাম্পাস তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গলদ থাকার ফলে বহু বছর আগে থেকেই মেঝে বসে যেতে শুরু করেছে। মেরামতি কবে হয়েছে সেটাও জানা নেই অনেকের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য অংশ অবশ্য বলছে, প্রায় কুড়ি বছর আগে শেষ বারের মতো সংস্কার করা হয়েছিল। তার পর থেকে কার্যত আর কোনও কাজ হয়নি। তাই ক্রমশ মেঝে বসে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, পাকাপাকি ভাবে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, নীচের তলায় আর কোনও অফিস রাখা হবে না। পুরোটাই উপরে তুলে নেওয়া হবে। তার বদলে উপরের তলায় থাকা পাঁচটি মিউজিয়ামের মধ্যে কয়েকটিকে নীচে নামিয়ে আনা হবে। এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট-এর সম্পাদক সুজয় ঘোষ বলেন, ‘‘প্রায় কুড়ি বছর পরে সংস্কার হবে, এটা বেশ ভাল উদ্যোগ। মেরামতির প্রয়োজন তো আছেই। তবে মিউজিয়ামগুলিকে নীচে নামানো যায় কি না তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও আলোচনার প্রয়োজন।’’ উপাচার্যও বলেন, ‘‘প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে সংস্কারের কাজ আগে করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন