প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রৌনক সাহাকে খুন করা হয়নি, তবে তাঁর গঙ্গায় তলিয়ে মৃত্যুর পিছনে রয়েছে গাফিলতি। ওই অপমৃত্যুর প্রায় ১৮ মাস পরে চার্জশিট জমা দিয়ে এমনই দাবি করল পুলিশ। সোমবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে। তাতে নিজের দায়িত্ব পালন না করার জন্য নৌকার মাঝি শেখ সইফুদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০১৬-এর ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার পানিঘাটে নৌকায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গঙ্গায় নিখোঁজ হয়ে যান রৌনক। ছেলের বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন রৌনকের বাবা সুব্রত সাহা। তদন্তে পুলিশ প্রথমেই বেশ কিছু গাফিলতি খুঁজে পায়। যার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় শেখ সইফুদ্দিনকে।
তদন্তকারীরা জানান, সইফুদ্দিনের নৌকা ভাড়া করে পাঁচ বন্ধু মাঝগঙ্গায় যান। ওই পাঁচ জনকে নৌকায় রেখে সইফুদ্দিন পাশের নৌকায় চলে যান। তদন্তকারীদের দাবি, সেখানে ছবি তোলার সময় জলে পড়ে যান রৌনক। তাঁকে জলে পড়ে যেতে দেখে অন্য বন্ধুরা চিৎকার করে সাহায্য চাইলেও মাঝি প্রথমে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। তিন দিন পরে রৌনকের দেহ মেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, রৌনকের বাবা খুনের অভিযোগে মামলা করলেও তার কোনও প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে আসেনি।
তদন্তকারীদের দাবি, চার্জশিটে বলা হয়েছে, খুনের অভিযোগের কোনও সত্যতা মেলেনি। সে দিন নৌকা থেকে টাল সামলাতে না পেরে জলে পড়ে গিয়েছিলেন রৌনক। তবে মাঝির বিরুদ্ধে একাধিক গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। তিনি প্রয়োজনীয় কোনও সতর্কতা অবলম্বন করেননি। পাশাপাশি, ঘটনার আগে তিনি নিজেই নৌকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে তাঁর সাহায্য চাইলে তা মেলেনি বলেই দাবি। পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান খতিয়ে দেখে মাঝির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে।’’