প্রতীকী ছবি।
অভিনব প্রতারণা। যে ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে কলকাতার একটি নাম করা এফএম চ্যানেলের বেশ কয়েক জন রেডিয়ো জকির নাম।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। আচমকাই ওই এফএম চ্যানেলের দফতরে গিয়ে বিশেষ এক জকির নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করেন এক অ্যাপচালিত ক্যাবের চালক। সেই জকি বাইরে আসতেই প্রতারণার পর্দা ফাঁস হয়। চালক জানান, তাঁর নাম করে অজ্ঞাতপরিচয় কোনও এক ব্যক্তি ক্যাবে ওঠে এবং তার পরে টাকা ধার করে পালিয়ে যায়। বন্ধ করে দেয় ফোনও। যদিও পুলিশের কাছে অভিযোগকারী জানিয়েছেন, সেই ব্যক্তির সঙ্গে আসল রেডিয়ো জকির কোনও মিল নেই।
এক বার নয়, গত কয়েক মাসে বারবার ঘটেছে একই ধরনের ঘটনা, এক এক দিন, এক এক জন চালকের থেকে। ওই একই এফএম চ্যানেলের বিভিন্ন জকির নাম করে প্রতারক বারবার জালিয়াতি করেছে বিভিন্ন অ্যাপচালিত ক্যাবের চালকের সঙ্গে। প্রতি বারেই সেই চালকদের ভুল ভেঙেছে ওই এফএম চ্যানেলের অফিসে পৌঁছে।
বিষয়টি নিয়ে গড়িয়াহাট থানায় তিনটি অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতারিত রেডিয়ো জকিরা। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলেই সূত্রের খবর।
গড়িয়াহাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের হাতে কিছু তথ্যও এসেছে। তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশের ধারণা, অভিযুক্ত ভুয়ো নামে সিম নিয়ে এই জালিয়াতি করছে। যেহেতু ক্যাবগুলিতে এফএম চলে, তাই পরিচিত রেডিয়ো জকিদের নাম করে সে জন্যই এই প্রতারণা করা সহজ হয়েছে।