এ ভাবেই চিড় (ইনসেটে) ধরেছে উল্টোডাঙা উড়ালপুলে। নিজস্ব চিত্র
ফের সঙ্কটে উল্টোডাঙার উড়ালপুল!
আট বছর পুরনো ওই সেতুর একটি অংশ বছর চারেক আগে খুলে পড়েছিল। সেই সময়ে বেশ কিছু দিন যান চলাচল বন্ধ ছিল কলকাতা থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার অংশে। এ বার সেই দিকেই দু’টি কংক্রিটের গার্টারে ন’টি চিড় ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। এই চিড় কী ভাবে মেরামত করা যায় তা নিয়ে চিন্তায় কেএমডিএ।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, কী ভাবে এমন চিড় ধরল কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটসের বিশেষজ্ঞেরা তা খতিয়ে দেখবেন। চিড়গুলি বাড়ছে কি না তা দেখতে আপাতত কেএমডিএ-র তরফে সেগুলির উপরে কাচের স্লাইড লাগানো হয়েছে।
কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, ২০১৩ সালে উ়ড়ালপুলের একটি অংশ ভেঙে পড়ার কারণ ছিল বিয়ারিংয়ের গন্ডগোল। ইঞ্জিনিয়ারেরা দেখেছিলেন, উড়ালপুলের ওই অংশের বিয়ারিং ঠিক মতো বসানো ছিল না। ভিতরের বিয়ারিং বাইরে
এবং বাইরের বিয়ারিং ভিতরে বসানোয় বিপত্তি হয়। তার পরে সেতু মেরামত করা হয়। সম্প্রতি কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ারেরা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সময়ে দেখতে পান, বিধান নিবাসের কাছে দু’টি গার্টারে ন’টি চিড় ধরেছে।
রাইটসের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, ‘‘আমরা কেএমডিএ-র কাছে সেতুর নকশা চেয়েছি।’’ এর আগে গৌরীবাড়ি সেতু, ঢাকুরিয়া সেতু, বিজন সেতুর মতো কয়েকটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল রাইটস। তাদের পরামর্শ মতো ওই সেতুগুলি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। রাইটসের রিপোর্ট পাওয়ার পরে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ওই চিড় খাওয়া অংশ মেরামতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেএমডিএ।
কিন্তু কী ভাবে কংক্রিটের গার্ডারে এমন চিড় বা ফাটল ধরতে পারে?
যাদবপুর বিশ্বাবিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন প্রধান নীতিন সোম বলেন, ‘‘ঠান্ডা-গরমে এ ধরনের চিড় ধরতে পারে।’’ তাঁর মতে, এই ধরনের বড় নির্মাণের ক্ষেত্রে চিড় ধরলে তার সঠিক কারণ নির্ধারণ করা জরুরি। তা হলে ভবিষ্যতে বিপদের আশঙ্কা থাকবে না। তবে এই ধরনের চিড় মেরামতি সম্ভব বলেই তাঁর মত।