যান্ত্রিক উপায়ে অক্সিজেনের জোগান ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন দিলচাঁদ সিংহ। তাঁর নতুন হৃৎপিণ্ড কাজ শুরু করেছে। কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন আর নেই। বুধবার তাই সেই জোগান বন্ধ করা হয়েছে।
সোমবার বাইপাসের এক হাসপাতালে হৃৎপিণ্ড বদলানো হয় ঝাড়খণ্ডের স্কুলশিক্ষক দিলচাঁদের। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ৯৬ ঘণ্টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠছেন দিলচাঁদ। যদিও এখনও নিশ্চিত ভাবে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। মঙ্গলবার তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়। এ দিন ফের শারীরিক পরীক্ষার পরে চিকিৎসক জানান, রক্তের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে স্বাভাবিক পরিমাণেই। পাইপের সাহায্যে তরল খাবার দেওয়া হয়েছে দিলচাঁদকে।
চিকিৎসকেরা জানান, রোগীর দেহে বাইরে থেকে বসানো ‘নতুন’ অঙ্গ গ্রহণ না-করার প্রবণতা
তৈরি হতে পারে। সেই প্রবণতা
রুখতে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। যে-ভাবে রোগী সাড়া দিচ্ছেন এবং তাঁর ‘নতুন’ অঙ্গ যে-ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছে, তাতে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে সংক্রমণ রুখতে দিলচাঁদের কাচের ঘরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের কড়া নির্দেশ বলবৎ রয়েছে।