Calcutta News

পশুর সৎকার প্রকল্পে গতি

পুরসভা সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে প্রকল্পের রিপোর্ট নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান। ওই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০২:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণ দমদমের রবীন্দ্রভবন প্রেক্ষাগৃহে মৃত পশুর সৎকারে বৈদ্যুতিক চুল্লির প্রকল্পের ঘটা করে ঘোষণা হয়েছিল গত জুন মাসে। তার পর থেকে ওই প্রকল্পের রূপায়ণ নিয়ে খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি। ভাগাড়-কাণ্ডের জেরে বদলাচ্ছে সেই ছবি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে নগরোন্নয়ন দফতর।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে প্রকল্পের রিপোর্ট নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান। ওই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, দক্ষিণ দমদমের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের ন’টি চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে দক্ষিণ দমদমে প্রথমে ওই প্রকল্প চালু করতে চাইছে প্রশাসন। দফতরের এক কর্তা জানান, এই ধরনের চুল্লি রক্ষণাবেক্ষণে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতিদিন কতগুলি পশুর দেহ সৎকারের জন্য আসছে, তা দেখে নিয়ে অন্য জেলায় চুল্লি তৈরির কথা ভাবা হবে।

Advertisement

দক্ষিণ দমদমের প্রমোদনগরে এই প্রকল্পটিকে আপাতত ‘পাইলট প্রজেক্টে’র মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ দক্ষিণ দমদম সংলগ্ন পুর এলাকায় মৃত পশুর দেহ ওই প্রস্তাবিত চুল্লিতে আনা হবে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘ভাগাড়ে আর পশুর দেহ ফেলতে দেওয়া হবে না। গ্রামাঞ্চলে যে পশু খামারগুলি রয়েছে, তারা মৃত প্রাণীর দেহ প্রমোদনগরে প্রস্তাবিত চুল্লিতে নিয়ে আসবে। মৃত পশুর দেহ বহনে পুরসভাকে গাড়ি দেওয়া হবে। আশা করছি, ছ’মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। খরচ তিন কোটি টাকা।’’ এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান বলেন, ‘‘উট ছাড়া টাকা দিয়ে সব পশুর দেহ সৎকার করা যাবে প্রস্তাবিত চুল্লি প্রকল্পে।’’

তবে প্রকল্পের পথ কতটা মসৃণ, তা নিয়ে পুরকর্তাদের একাংশ সন্দিহান। কারণ, প্রমোদনগরে ভাগাড় তৈরির কারণে পরিবেশ দূষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা অসন্তুষ্ট। তাই মৃত পশুর দেহ সৎকারে চুল্লি নির্মাণকে স্থানীয়েরা কী ভাবে দেখবেন, তা নিয়ে চিন্তায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও এখনই এ নিয়ে ভাবতে নারাজ পুরপ্রধান। তাঁর দাবি, বৃহত্তর স্বার্থেই পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন।

ভাগাড়-কাণ্ডের জেরে শুক্রবারই অভিযানে নেমে রেস্তরাঁয় বাসি পিৎজা, নিম্ন মানের খাবার বিক্রি হতে দেখেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। সে দিনই এলাকার কয়েকটি রেস্তরাঁ সম্পর্কে পুরসভাকে সতর্ক করে চিঠি দেয় বিধাননগর কমিশনারেট। নিউ টাউনের অভিযুক্ত খামারের মাংস ওই রেস্তরাঁগুলিতে সরবরাহ হত বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। পুরপ্রধানের বক্তব্য, অভিযোগ প্রমাণিত হলে রেস্তরাঁগুলির ট্রেড লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা ছাড়া কিছু করার নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন