অনিয়ম: রাস্তার কাজে লাগানো হচ্ছে বাড়িতে ব্যবহারের গ্যাস সিলিন্ডার। শুক্রবার, নীলগঞ্জ রোডে। নিজস্ব চিত্র
প্রায় মাস দেড়েক ধরেই চলছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। কিন্তু সেই কাজেই এ বার অনিয়মের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, প্রকাশ্যে গৃহস্থালির গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে চলছে রাস্তা সারানো।
শুক্রবার রাতে কামারহাটি পুরসভার নীলগঞ্জ রোডে কাজের সেই ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক শ্রমিক রাস্তায় পিচের মধ্যে খোয়া বসানোর জন্য লাল রঙের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে গৃহস্থের কার্যত মাথায় হাত, এমনকি বহু মানুষ মূল্যবৃদ্ধির জন্য রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিতে পারছেন না, সেখানে কী ভাবে রাস্তা সংস্কারে ওই ‘ডোমেস্টিক সিলিন্ডার’ ব্যবহৃত হচ্ছে? কারণ, যে কোনও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য অন্য রঙের সিলিন্ডার (কর্মাশিয়াল সিলিন্ডার) রয়েছে।
কী ভাবে ওই গ্যাস সিলিন্ডার সহজে ঠিকাদারেরা পেয়ে যাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যের পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার সেন বলেন, ‘‘এটি পুরোপুরি বেআইনি। কখনওই গৃহস্থালির গ্যাস রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যবহার করা যায় না। এমন অনেক অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি।’’ তিনি আরও জানান, অনেক বাড়িতেই মাসে ১২টির বদলে ৮-৯টি সিলিন্ডার নেওয়া হয়। বাকি ৩-৪টি সিলিন্ডার অতিরিক্ত দামে ঘুরপথে ব্যবসায়ী বা ঠিকাদারদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। কারণ বাণিজ্যিক গ্যাসের তুলনায় রান্নার গ্যাসের দাম কম।
কামারহাটি পুরসভা সূত্রের খবর, বেলঘরিয়া থানার পিছন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার নীলগঞ্জ রোড সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেই পঞ্চাননতলার কাছে
ওই বিষয়টি নজরে আসে। ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট করার কাজে দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। তবে বিষয়টি ঠিক নয় বলে মানছেন পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাও। তিনি বলেন, ‘‘ঠিকাদার যদি এ কাজ করে থাকেন ঠিক করেননি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’’