নন এসি রেকগুলির অসুখ কমাতে তৎপর হয়েছেন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। —ফাইল চিত্র।
অসুস্থ হলেও লম্বা ছুটি পাওয়ার জো নেই নন এসি রেকের। ঘন ঘন বিকল হওয়া নন এসি রেকগুলির অসুখ কমাতে সাতটিকে চিহ্নিত করে খোলনলচে বদলে সারাতে তৎপর হয়েছেন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে তিনটির কাজ শেষ। চতুর্থ রেক আসার কথা মে মাসে। পঞ্চমটি যাবে জুনে। কিন্তু স্বাস্থ্যোদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত রেক বসিয়ে রাখার অবস্থায় নেই কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্যা চলতেই থাকবে বলেই মত কর্তাদের।
মেট্রোয় দিনে গড়ে ২৩-২৪টি রেক ব্যবহার করতে হয়। নোয়াপাড়া ও নিউ গড়িয়ায় দু’টি রেক ‘স্ট্যান্ডবাই’ হিসেবে রাখতে হয় আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য। এর মধ্যেই চালু রেক রক্ষণাবেক্ষণও করতে হয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনও রেককে দু’এক দিন বসিয়ে রাখতেও হয়। ফলে খারাপ রেক দীর্ঘ মেয়াদে যে বসিয়ে রাখার উপায় নেই তা মানছে মেট্রো।
মেট্রোয় বর্তমানে তিন রকম রেক ব্যবহৃত হয়। বয়সের ভারে নন এসি রেকগুলি অল্প ছুটেই কাহিল হয়ে পড়ে। মোট ২৭টির মধ্যে ১৩টি এসি এবং ১৪টি নন এসি রেক রয়েছে। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (আইসিএফ) তৈরি হওয়া এসি রেকগুলি বয়সে অনেকটাই নবীন। ফলে ওই রেকে সমস্যা তুলনায় কম।
নন এসি রেকের দু’টি সিরিজ রয়েছে— ৮এন এবং বি। ৮এন সিরিজের রেকগুলি সারাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সবচেয়ে পুরনো বি সিরিজের রেকগুলিকে পর্যায়ক্রমে বাতিল করার পরিকল্পনা থাকলেও নতুন এসি রেক না মেলায় সারানোর কাজে হাত দিতে হয়েছে। বি সিরিজের মাত্র তিনটি রেকের সম্পূর্ণ মেরামতি শেষ হয়েছে। কিন্ত পরিস্থিতি এমনই যে বাকি চারটিকে দীর্ঘ মেয়াদে বসিয়ে রাখার উপায় নেই।
ফলে মেট্রো চালালে তা বিকল হবে এবং সমস্যায় পড়তে হবে ধরে নিয়েই আপাতত পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন মেট্রো কর্তারা। সে জন্য সম্প্রতি বৈঠক করে যাত্রী বিক্ষোভ পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মেট্রো সুড়ঙ্গে বা সুড়ঙ্গের বাইরে কোথাও আটকে পড়লে দ্রুত যাত্রীদের উদ্ধারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেট্রো আটকালে যাত্রীদের মধ্যে যাতে ভয় বা আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ঘোষণার উপরে জোর দেওয়া হবে।
এক মেট্রো কর্তা বলেন, “সমস্যা নিয়েই চলতে হবে বুঝে আপাতত আমরা যাত্রীদের আতঙ্ক ঠেকানোর উপর জোর দিচ্ছি।”